বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করার আগে ক্লাব ফুটবলে তাঁর সতীর্থ লিয়োনেল মেসিকে একটা কথা বলে এসেছেন নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র।
কী বলে এসেছেন নেমার? ইংল্যান্ডের এক সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলিয়ান মহাতারকা বলেছেন, ‘‘আমরা এমনিতে বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি কথা বলি না। কিন্তু মাঝে মাঝে আমরা হাসি-ঠাট্টা করি। যেমন, ফাইনালে যদি আমাদের লড়াই হয়, তা হলে কী হবে? আমি তো মেসিকে বলেছি, আমিই চ্যাম্পিয়ন হব আর তোমার বিরুদ্ধে জিতব। এই নিয়ে দু’জনে হাসাহাসিও করেছি।’’ প্যারিস সঁ জরমঁর দুই সতীর্থকে নিয়ে নেমার বলেছেন, ‘‘মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপের পাশে খেলতে পারাটা দারুণ অভিজ্ঞতা। ওরা দু’জনেই অসাধারণ ফুটবলার। আর মেসিকে তো অনেক আগে থেকেই বিশ্বের সেরা ফুটবলার বলা হয়ে থাকে।’’
ফ্রান্সের তারকা ফুটবলার এমবাপের প্রশংসা করে নেমার আরও বলেছেন, ‘‘কিলিয়ান তরুণ ফুটবলার। ও ক্রমশ উন্নতি করেই চলেছে। নিজের দক্ষতা সবার সামনে তুলে ধরছে। ও আরও উন্নতি করবে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘দারুণ ফুটবলারদের পাশে খেলাটা আমি সব সময়ই পছন্দ করি। তা হলে জেতার সুযোগ বেড়ে যায়।’’
নেমার পরিষ্কার জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ জেতাটা তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন এবং কাতারে সেই স্বপ্ন সফল করতে চান তিনি। নেমারের কথায়, ‘‘আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হল বিশ্বকাপ জেতা। যখন থেকে বুঝতে শিখেছি ফুটবল খেলাটা কী, তখন থেকেই আমার স্বপ্ন বিশ্বকাপ জেতা। সেই স্বপ্ন সফল করার আর একটা সুযোগ পাচ্ছি। আশা করছি, এ বার স্বপ্নটা সফল হবে।’’
এ দিকে, বিশ্বকাপে তাঁদের অভিযান শুরু হবে নোভাক জোকোভিচের দেশ সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে। কিন্তু তার আগেই অভিনব অনুশীলনে নজর কাড়লেন ব্রাজিল কোচ তিতে।
তুরিনে চলছে ব্রাজিলের শিবির। সেখানেই ফুটবলারদের বল নিয়ন্ত্রণ দক্ষতা বাড়াতে তিতে নতুন পদ্ধতি চালু করেছেন। ফুটবলারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে কোনও পরিস্থিতিতে উড়ে আসা বলকে এক সুযোগে নিয়ন্ত্রণে এনে নিখুঁত পাস দিতে হবে সতীর্থদের।
৩০ মিটার উঁচুতে লাগানো হয়েছে একটি বিশেষ ড্রোন, যা ঘুরছে পুরো মাঠে। কোচ বাঁশি বাজানোর পরেই সেই ড্রোন থেকে প্রচণ্ড গতিতে নেমে আসছে বল। নেমার-সহ ব্রাজিল দলের বাকি ফুটবলারদের বলা হয় সেই বল প্রথম সুযোগেই নিয়ন্ত্রণে এনে নিমেষে পাস বাড়াতে। সকলের মন জয় করে নেন নেমার। অনায়াস ভঙ্গিতে ডান পায়ে সেই বল নিজের নিয়্ন্ত্রণে নিয়ে ফেলেন। যা দেখে সতীর্থরা ছুটে এসে তাঁকে ঘিরে উল্লাসে মেতে ওঠেন।
তবে ব্যর্থও হয়েছেন অনেকে। টটেনহ্যাম তারকা রিচার্লিসন বলের গতি বোঝার আগেই তা মাটিতে আছড়ে পড়ে উপরের দিকে উঠে যায়। ম্যান ইউ তারকা অ্যান্টনিও ব্যর্থ। কিন্তু নেমারের মতোই সফল হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র এবং এডের মিলিতাও।
তবে এই অভিনব অনুশীলনের মধ্যেও চাপা দুশ্চিন্তা রয়ে গিয়েছে ব্রাজিল শিবিরে। অনুশীলনে ডিফেন্ডার মারকুইনহোস ছিলেন না মঙ্গলবার। যা নিয়ে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, তাঁর চোট আছে। কিন্তু কী চোট, সেটা কেউ বলছেন না।