ম্যাচ হারতেই রেগে গেলেন নেমার। সতীর্থদের সঙ্গে ঝগড়া করলেন। বচসায় জড়ালেন দলের মালিকের সঙ্গেও। —ফাইল চিত্র
দলে ছিলেন না লিয়োনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপে। তাই অতিরিক্ত দায়িত্ব ছিল নেমারের কাঁধে। কিন্তু তিনি পারলেন না। আরও একটি ম্যাচ হারল প্যারিস সঁ জরমঁ। এ বার মোনাকোর কাছে ১-৩ হেরে মাঠ ছাড়ল তারা। তার পরেই সতীর্থ ও দলের মালিক লুই কাম্পোসের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঝগড়া করলেন নেমার। সেই ঝগড়া গড়াল সাজঘর পর্যন্ত।
ফ্রান্সের এক সংবাদপত্র জানিয়েছে, প্রথম একাদশ নিয়ে খুব একটা খুশি ছিলেন না নেমার। মাঠে খেলা চলাকালীন মাঝেমধ্যে সতীর্থদের সঙ্গে তর্ক হচ্ছিল তাঁর। দল যে একসঙ্গে খেলছে না সেটা বোঝা যাচ্ছিল। তার ফলও দেখা যায়। ১-৩ গোলে হারে পিএসজি। মোনাকোর হয়ে জোড়া গোল করেন বেন ইয়েডার। আর একটি গোল আলেকজান্ডার গোলোভিনের। পিএসজির হয়ে একমাত্র গোল করেন এমেরি।
ম্যাচ শেষ হতেই মাঠে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন নেমার। তাঁর ফরোয়ার্ড জুটি হুগো একিটিকের সঙ্গে ঝগড়া হয় তাঁর। আর এক সতীর্থ ভিটিনহার উপরেও রাগ দেখান নেমার।
বচসা গড়ায় সাজঘরেও। দলের খেলায় একটুও খুশি হতে পারেননি কাম্পোস। ফুটবলাররা সাজধরে ফিরলে তাঁদের তুলোধনা করতে থাকেন তিনি। সেটা মেনে নিতে পারেননি নেমার। মালিকের সঙ্গেই বচসায় জড়ান তিনি। নেমারের সঙ্গে যোগ দেন আর এক ব্রাজিলীয় মারকুইনোসও।
তবে বিবাদ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি পিএসজির কোচ ক্রিস্টোফ গাল্টিয়ের। তিনি দলের খেলা নিয়ে কথা বলেছেন। গাল্টিয়েরের কথায়, ‘‘দলের মধ্যে কোনও তাগিদ দেখা যাচ্ছিল না। তার জন্য আমরা বার বার হারছি। এটা লুকোনোর জায়গা নেই। কেন এটা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। দলের কোচ হিসাবে আমার দায়িত্ব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। কিন্তু হচ্ছে না।’’
নতুন বছর ভাল যাচ্ছে না পিএসজির। এর মধ্যেই তিনটি ম্যাচ হেরেছে তারা। চোটের কারণে দলের বাইরে এমবাপে, মেসি। আগামী সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে সামনে বায়ার্ন মিউনিখ। সেই ম্যাচে এমবাপেকে পাবে না পিএসজি। তাই বাকিদের উপরেই ভরসা করতে হবে গাল্টিয়েরকে। কিন্তু দলের অন্দরের যা অবস্থা তাতে যথেষ্ট চাপে তিনি।