মুম্বই কোচ পিটার ক্রাতকি। ছবি: আইএসএল
লিগের শেষ ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে হারের ক্ষত এখনও দগদগে। মাঝে বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেলেও এখনও ভুলতে পারেননি। জানেন, আবার ৬০ হাজার দর্শকের সামনে নামতে হবে। মোহনবাগানকে শক্তিশালী দল বলেও মুম্বই সিটির কোচ পিটার ক্রাতকি জানালেন, শনিবার যুবভারতীকে নিস্তব্ধ করে দিতে চান তাঁরা।
কোচ হিসাবে বাকিদের থেকে বেশ আলাদা ক্রাতকি। ডেস বাকিংহামকে সরিয়ে মরসুমের মাঝপথে কোচ হয়ে এসেছেন। তার পরেও দলকে লিগ-শিল্ডের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত টিকিয়ে রাখা বা আইএসএলের ফাইনালে তোলাকে কৃতিত্ব হিসাবেই দেখতে হবে।
মানুষ হিসাবেও বেশ ঠান্ডা মাথার। শুক্রবার রাজারহাটের হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে আগাগোড়া আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রশ্নের উত্তর দিলেন। স্পষ্ট, সোজাসাপ্টা উত্তর। কোনও প্রশ্নে ঘাবড়ে যাননি। বিতর্কিত মন্তব্যও করেননি।
লিগ-শিল্ড না পাওয়া যে মেনে নিতে পারেননি, সেটা বোঝা গেল শুরুতেই। বললেন, “খুব হতাশ ছিলাম। জানতাম কী করতে হবে। দুর্ভাগ্যবশত ম্যাচটা হেরে গেলাম। ঘুরে দাঁড়াতে সময় লেগেছে। বেশ কয়েকটা অনুশীলনের পর আবার আমরা আগের জায়গায় ফিরে এসেছি। জয়ের খিদে ফিরে এসেছে।”
পাশাপাশি ক্রাতকির কথায়, “মোহনবাগান ভাল দল। গোটা ম্যাচেই আক্রমণ এবং রক্ষণে নিখুঁত থাকতে হবে। আমি একদম শান্ত। খেলোয়াড়েরাই তাই। কোনও চাপ নেই দলে। আমি জানি ফুটবলারেরা কী করতে পারে।”
যুবভারতীর দর্শকদের প্রসঙ্গ আসতেই চোয়াল সামান্য কঠিন হল। মুম্বইয়ের কোচ স্পষ্ট ভাবে বলে গেলেন, “ভরা স্টেডিয়ামে কী ভাবে খেলতে হয় সেটা দেখেছি। আগের ম্যাচে প্রচুর মানুষ দেখেছিলাম। কিন্তু নিজেদের কাজটা আমরা জানি। আশা করি ফাইনাল বলে মুম্বইয়ের কিছু সমর্থকও থাকবে। ওদের খুশি করতে এবং যুবভারতীকে নিস্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করব।”
মুখোমুখি সাক্ষাতে মুম্বই বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে মোহনবাগানের থেকে। ফাইনালের আগে সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিতেই বললেন, “মোহনবাগানকে সমীহ করি। তবে আগে কী হয়েছে তা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। এই ম্যাচের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা হবে। দরকারে পরিকল্পনায় বদল আনতে হবে। ৯০ মিনিটেই খেলা শেষ করার চেষ্টা করব।”
চোটের কারণে আকাশ মিশ্র এবং কার্ড সমস্যায় ইয়োয়েল ফান নিয়েফকে পাবে না মুম্বই। বাকিরা তৈরি বলে জানালেন ক্রাতকি। মুখে না বললেও বোঝা গেল, ফাইনালে তাঁর অস্ত্র ভারতের তিন মূর্তি লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে, বিপিন সিংহ এবং বিক্রম প্রতাপ সিংহ।