বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
মেলবোর্ন টেস্টে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বিরাট কোহলি। প্রথম টেস্ট খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়ার ১৯ বছরের ওপেনার স্যাম কনস্টাসকে ধাক্কা মারেন বৃহস্পতিবার। ম্যাচের দশম ওভারের শেষে কোহলির ওই আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একাংশ। এ বার মুখ খুললেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও নিক হকলে। তাঁর কাছে ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত।
কোহলির আচরণে বিস্মিত হকলে। কোহলির মতো ক্রিকেটার কী ভাবে এমন করলেন, তা বুঝতে পারছেন না তিনি। তাঁর বক্তব্য, ফুটবল বা অন্য খেলার মতো ক্রিকেটে শারীরিক সংঘাতের সুযোগ নেই। তাই এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। শুক্রবার কোহলির ওই আচরণ নিয়ে বলেছেন, ‘‘ঘটনাটা দেখতে ভাল লাগেনি। সকলেই জানেন, ক্রিকেট মাঠে শারীরিক সংঘাত কখনও কাম্য নয়। যেটা হয়েছে, ভাল হয়নি। আমার মনে হয়, কোহলি দোষ স্বীকার করে ঘটনার দায় নেবে। বয়স অনুযায়ী কনস্টাস যথেষ্ট পরিণতি বোধ দেখিয়েছে। বলা যায়, আমাদের তরুণ ক্রিকেটার কোহলির আচরণকে কিছুটা করুণার চোখে দেখেছে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘হয়তো এটা দু’দলের তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতার একটা বহিঃপ্রকাশ। মাঠে তীব্র ক্রিকেটীয় লড়াই হতেই পারে। তবু বলব, এই ধরনের বিষয় দেখতে ভাল লাগে না।’’
কোহলি অস্ট্রেলীয় তরুণকে ধাক্কা মারলেও কঠিন শাস্তি পাননি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) তাঁকে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করেছে। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে চাননি হকলে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এটা ম্যাচ অফিসিয়ালদের ব্যাপার। ম্যাচ অফিসিয়ালেরা প্রত্যেকে যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোহলি ওর দোষ মেনে নিয়েছে বলেই মনে হয়।’’ কোহলিকে নিয়ে ক্রিকেট মহলে বিতর্ক তৈরি হলেও তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও। তবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোহলির আচরণ সমর্থন যোগ্য নয়।
কোহলির এমন আচরণ অবশ্য নতুন নয়। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে কোহলি বলেছিলেন, “অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে ভাল লাগে। কারণ ওদের বিরুদ্ধে নিজেকে শান্ত রাখা মুশকিল। মাঠে ঝগড়া করতে আমি পিছপা হই না। আমাকে এগুলো উত্তেজিত করে। নিজের সেরাটা দিতে পারি আমি।” সেই সেরাটার লক্ষ্যেই কি অস্ট্রেলীয়দের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে ঝগড়া করছেন কোহলি!