মহমেডানের বিরুদ্ধে গোল করে উল্লাস মোহনবাগানের কিয়ান নাসিরির। ছবি: টুইটার
কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে উঠতে গেলে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে অন্তত ১ পয়েন্ট পেতে হত মোহনবাগানকে। তবে ১ নয়, ৩ পয়েন্ট পাওয়ার লক্ষ্যেই নেমেছিল সবুজ-মেরুন। ম্যাচ প্রায় জিতেও গিয়েছিল তারা। কিন্তু সংযুক্তি সময়ের শেষ দিকে মহমেডানের হয়ে গোল করে ম্যাচ ড্র করেন বাগানের প্রাক্তন ফুটবলার শেখ ফৈয়াজ। ম্যাচ ড্র হলেও অবশ্য সুপার সিক্সে যেতে সমস্যা হল না মোহনবাগানের। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই পরের রাউন্ডে চলে গেল তারা।
শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের খেলা চলছিল। গ্রুপ এ-তে পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে রয়েছে মহমেডান। তাই তারাও পিছিয়ে ছিল না। প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যে বেশি সুযোগ তৈরি করে তারা। ২০ মিনিটে এগিয়েও যায় সাদা-কালো ব্রিগেড। গোল করেন ডেভিড লালহানসাঙ্গা। চলতি মরসুমে ভাল ছন্দে রয়েছেন ডেভিড। সেটা এই ম্যাচেও দেখা গেল।
চার মিনিট পরেই আবার গোল করার জায়গায় চলে যায় মহমেডান। এ বার দলের পতন রোধ করেন রাজ। গোললাইন সেভ করেন বাগানের ফুটবলার। ২৭ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন কিয়ান নাসিরি। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় বাগান। তার ফলও মেলে। বক্সের ডান দিকে উঁচু বল বুকে ধরে নামান কিয়ান। তার পরে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। সমতা ফেরায় সবুজ-মেরুন। গোল দিয়ে আক্রমণ আরও বাড়ায় মোহনবাগান। ৮০ মিনিটের মাথায় বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করে বাগানকে এগিয়ে দেন টাইসন সিংহ।
ম্যাচের বাকি সময়ে আক্রমণ করেও গোলের মুখ খুলতে পারছিল না মহমেডান। দেখে মনে হচ্ছিল ম্যাচ জিতে পরের রাউন্ডে যাবে তারা। কিন্তু ৯৭ মিনিটের মাথায় হেডে গোল করে সমতা ফেরান ফৈয়াজ। ২-২ গোলে ম্যাচ ড্র হয়।
এই ম্যাচের পরে গ্রুপ এ-র শীর্ষে মহমেডান। ১২ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট তাদের। দ্বিতীয় স্থানে ডায়মন্ড হারবার। ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৬। ১১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে মোহনবাগান। কালীঘাটের পয়েন্ট ২৪ হলেও গোল পার্থক্যে চার নম্বরে তারা। মোহনবাগানের শেষ ম্যাচ ডায়মন্ড হারবারের সঙ্গে। দু’দলেই সুপার সিক্সে পৌঁছে গিয়েছে। তবে শেষ ম্যাচ জিতলে দ্বিতীয় স্থানে থেকে পরের রাউন্ডে যাবে বাগান।