Mohun Bagan and East Bengal Supporters' Protest

যুবভারতীতে সমর্থকদের বিক্ষোভে হাজির শুভাশিস, আরজি কর-কাণ্ডে বিচার চাইলেন মোহন-অধিনায়কও

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এ বার সরব খোদ মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বসু। রবিবার যে সময়ে তাঁর মাঠে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলার কথা ছিল, সেই সময়ে তিনি পা মেলালেন সমর্থকদের মিছিলে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৪ ১৮:৫৫
Share:

সমর্থকদের সঙ্গে প্রতিবাদ শুভাশিসের। ছবি: সংগৃহীত।

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এ বার সরব খোদ মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বসু। রবিবার যে সময়ে তাঁর মাঠে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলার কথা ছিল, সেই সময়ে তিনি পা মেলালেন সমর্থকদের মিছিলে। কলকাতা ডার্বি বাতিলের প্রতিবাদে এবং আরজি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে বিকেলে যুবভারতীর বাইরে জড়ো হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডানের সমর্থকেরা। সেই মিছিলে পা মেলালেন শুভাশিসও। স্ত্রী কস্তুরী ছেত্রীকে নিয়ে মিছিলে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

Advertisement

শুভাশিস বলেন, “একটা মেয়ের উপর নির্মম অত্যাচার হয়েছে। গোটা ভারত এই ঘটনায় লজ্জিত। বিচার চাওয়ার জন্য আমরা যে লড়াই করছি, সেই লড়াই যেন জারি থাকে। আমরা একটাই দাবি, বিচার হোক। যারা যুক্ত রয়েছে তাদের অবিলম্বে খুঁজে বার করে শাস্তি দেওয়া হোক।”

যে ভাবে একটি ঘটনাকে ঘিরে তিন প্রধানের সমর্থকেরা জড়ো হয়েছেন, তা দেখে খুশি শুভাশিস। মাঠে খেলতে নেমে দুই দলের সমর্থকদের রেষারেষি, স্লোগান দেওয়া দেখেছেন। কিন্তু একটি বিষয়কে ঘিরে সমর্থকদের এক হয়ে যাওয়া দেখে খুশি তিনি। বলেছেন, “এই প্রথম বার মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা এক হয়ে লড়াই করছে। এখানে যে ভাই-বোনেরা এসেছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। সমাজমাধ্যমেও তোমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছো। আশা করি এ ভাবেই তোমরা বিচার না পাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে।”

Advertisement

উল্লেখ্য, রবিবার সকালে ইস্টবেঙ্গলের ফিজিয়ো সেনেন আলভারেজ়‌ আরজি করে গিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। শনিবার রাতে সরব হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের শৌভিক চক্রবর্তী। ডার্বি বাতিল হওয়ার পরে সমাজমাধ্যমে শৌভিক লেখেন, “ঐতিহ্যের ডার্বি ম্যাচে খেলতে না পেরে খুবই দুঃখিত। আমরা যত ডার্বি খেলি বা দেখি না কেন, প্রতিটি খেলারই খেলার মানুষের কাছে আলাদা বিশেষত্ব থাকে।” তার পরেই আরজি করের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশের গুরুত্বপূর্ণ এই ফুটবলার। তিনি লেখেন, “তবে আমি খুশি যে এই গুরুত্বপূর্ণ কারণে বাঙালি সমাজ এক হয়েছে। বাঙাল এবং ঘটি, দুই পক্ষই তাদের বোনের জন্য একসঙ্গে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই, একজন সন্তান হিসেবে, কোনও মায়ের কোল খালি না থাকুক। তাই ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত, যত কঠিনই বাধা আসুক, আমরা থামব না।” আশ্চর্যজনক ভাবে, কিছু ক্ষণ পরে তাঁর প্রোফাইলটাই ফেসবুক থেকে উড়ে যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement