জোড়া গোল করলেন ফিল ফোডেন। ছবি: রয়টার্স।
ভাল-খারাপ দিন দুই ম্যাঞ্চেস্টারের। ১-৩ হেরে গেল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাব। সেখানে পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যান সিটি ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিল ইপসউইচ টাউন-কে। জোড়া গোল করলেন ফিল ফোডেন। একটি করে গোল মাতেয়ো কোভাচিচ, জেরেমি ডোকু, আর্লিং হালান্ড ও জেমস ম্যাকাটির।
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এ বার হেরে গেল ব্রাইটনের মতো দলের কাছে। তাও ১-৩ গোলে! খেলার পাঁচ মিনিটেই ব্রাইটনকে এগিয়ে দেন ইয়ানকুবে মিনতে। ২৫ মিনিটে সমতা ফেরান ম্যান ইউ অধিনায়ক ব্রুনো ফের্নান্দেস পেনাল্টি থেকে গোল করে। কিন্তু সেখানেই থেমে যায় ব্রুনোদের দৌড়। দেখতে দেখতে আরও দু’টি গোল করে তিন পয়েন্ট পেয়ে যায় ব্রাইটন। তাদের দ্বিতীয় গোল ৬০ মিনিটে। করেন কাওরো মিতোমা। ৩-১ হয় জিয়োর্নিয়ো রাট্টারের সৌজন্যে। সংযুক্ত সময়ে সাত মিনিট পেয়েও ব্যবধান কমাতে পারেনি ম্যান ইউ। এই হারে পয়েন্ট টেবলে ম্যান ইউ থাকল ১৩ নম্বরে। ২২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট মাত্র ২৬। শীর্ষে এখনও লিভারপুল। মহম্মদ সালাহরা ২-০ হারিয়েছে ব্রেন্টফোর্ডকে। কিন্তু দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনাল ২-০ এগিয়ে গেলেও অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করেই সন্তুষ্ট থেকেছে।
লিভারপুলকে জয় এনে নেন ডারউইন নুনেস সংযুক্ত সময়ে জোড়া গোল করে। ৯০+১ মিনিটে ট্রেন্ট আলেকজ়ান্ডার আর্নল্ড-এর সেন্টার থেকে প্রথম গোল করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। দু’মিনিট পরেই ফের তাঁর লক্ষ্যভেদ। ম্যাচের পরে লিভারপুল ম্যানেজার আর্নে স্লট বলেন, “সুযোগ নষ্টের বহর দেখে জয় পাওয়ার আশা এক সময় ছেড়ে দিয়েছিলাম। ভাবিইনি শেষ পাঁচ মিনিটে জোড়া গোল হবে।”
আর্সেনাল ৫৫ মিনিট পর্যন্ত দু’গোলে এগিয়ে থাকলেও দুরন্ত প্রত্যাবর্তনে ড্র করল অ্যাস্টন ভিলা। ৩৫ মিনিটে লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড-এর ক্রস থেকে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। ৫৫ মিনিটে ট্রোসার্ডেরই পাসে ২-০ করেন কাই হাভার্ৎজ়। পাঁচ মিনিট পরেই টিয়েলেম্যানসের হেডে ব্যবধান কমায় ভিলা। আট মিনিট পরে ওলি ওয়াটকিন্সের ভলি আর্সেনাল দর্শকদের উৎসবের মেজাজ পুরোপুরি স্তব্ধ করে দেয়।
ইপিএল
ইপসউইচ ০→n→ ম্যান সিটি ৬
ব্রেন্টফোর্ড ০→n→ লিভারপুল ২
ম্যান ইউ ১→n→ ব্রাইটন ৩