আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের খরা কাটিয়েছেন লিয়োনেল মেসি। বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্য কারণ জানালেন লিয়ো। —ফাইল চিত্র
তাঁর নেতৃত্বে ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু লিয়োনেল মেসির মনে হচ্ছে, জাদুবলে সেটা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বকাপ জিতে এ কী বলছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক!
নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে কিছু ছবি পোস্ট করেছেন মেসি। দেখে বোঝা যাচ্ছে, সেগুলি বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরার সময় বিমানের মধ্যে তোলা। ক্যাপশনে মেসি লিখেছেন, ‘‘ওরা আমাকে কী ভাবে বিশ্বাস করাবে যে জাদু বলে কিছু হয় না।’’ মেসির এই কথা থেকে পরিষ্কার, বিশ্বকাপ জয়ের ঘোর এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। তাঁর এখনও মনে হচ্ছে, জাদুবলে বিশ্বকাপ জিতেছেন তাঁরা।
বিশ্বকাপ জেতার পরেও মেসির বিশ্বাস হচ্ছিল না যে তাঁরা চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বকাপ জিতে মেসি লিখেছিলেন, “বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। কত বার এই স্বপ্ন দেখেছি। এটা পাওয়ার জন্য কত অপেক্ষা করেছি। সেটা পাওয়ার পর বিশ্বাসই হচ্ছে না যে পেয়েছি। পরিবারকে ধন্যবাদ আমার পাশে থাকার জন্য। ধন্যবাদ তাঁদের যারা বিশ্বাস করেছিল যে আমি পারব। আরও এক বার প্রমাণ হয়ে গেল আর্জেন্টিনার গোটা দল এক হয়ে যদি কিছু চায়, সেটা পায়। কোনও ব্যক্তি নয়, গোটা দলের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। একটা স্বপ্নের পিছনে সবাই দৌড়েছি। আমরা পেরেছি।’’
বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গে বেশ কয়েক দিন সময় কাটিয়েছেন মেসি। তার পরে তিনি ফ্রান্সে ফিরেছেন ক্লাব ফুটবল খেলতে। প্যারিস সঁ জরমঁর মাঠে মেসিকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেন ক্লাবের ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফরা। সেখানে অবশ্য ছিলেন না বিশ্বকাপ ফাইনালে মেসিদের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করা ফরাসি ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে। ছিলেন না বিশ্বকাপে নজর কাড়া মরক্কোর আশরফ হাকিমিও। ক্লাবের মালিক মেসির হাতে একটি বিশেষ উপহার তুলে দেন। মেসিকে দেখতে প্যারিস বিমানবন্দরের বাইরেও ভিড় জমেছিল। যে দেশকে হারিয়ে মেসি বিশ্বকাপ জিতেছেন সেই দেশেই স্বাগত জানানো হয়েছে তাঁকে।
এমবাপে এবং হাকিমি দু’জনের কেউই বিশ্বকাপের পর ছুটি নেননি। দেশের হয়ে দায়িত্ব শেষ হওয়ার পরেই চলে এসেছেন ক্লাবে। হাকিমির দেশ মরক্কো খেলেছে বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থানের ম্যাচ। এমবাপে খেলেছেন ফাইনাল। ক্লাবের তরফে তাঁদের ছুটির অনুমোদন দেওয়া হলেও কেউই নেননি। তবে পিএসজি-র হয়ে বছরের শেষ এবং নতুন বছরের প্রথম ম্যাচ খেলার পরেই ছুটিতে চলে গিয়েছেন দু’জনে। সেই ছুটি দিয়েছেন কোচ ক্রিস্টোফ গালচিয়ে।
বিশ্বকাপের পরে পিএসজির হয়ে প্রথম দু’টি ম্যাচে খেলতে পারেননি মেসি। কিন্তু পরের ম্যাচে তিনি মাঠে নামবেন বলে ক্লাব সূত্রে খবর। সেই ম্যাচেই পিএসজির হয়ে মাঠে নামার কথা এমবাপের। অর্থাৎ, বিশ্বকাপের পরে আরও এক বার একসঙ্গে মাঠে দেখা যাবে মেসি-এমবাপেকে। তবে এ বার সতীর্থ হিসাবে।