ফুটবল মাঠে বিতর্ক। এক শিখ ফুটবলারের পাগড়ি খোলার চেষ্টা করায় প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে মেরে লাল কার্ড দেখলেন তিনি। —ফাইল চিত্র
ম্যাচের মধ্যে এক শিখ ফুটবলারের পাগড়ি খোলার চেষ্টা করলেন প্রতিপক্ষ ফুটবলার। রেগে গিয়ে সেই ফুটবলারের গায়ে হাত তোলেন শিখ ফুটবলার। সেই কারণে তাঁকে লাল কার্ড দেখালেন রেফারি। এই ঘটনায় বিতর্কে ইংল্যান্ড ফুটবল।
ইংল্যান্ডের দশম ডিভিশনে ল্যাংফোর্ড এফসি ও রিয়াল বেডফোর্ডের মধ্যে খেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। ল্যাংফোর্ড এগিয়ে ছিল ৩-১ ব্যবধানে। খেলার শেষ দিকে ল্যাংফোর্ডের ফুটবলার চরণ বসরার পাগড়ি খুলে ফেলার চেষ্টা করেন প্রতিপক্ষের ফুটবলার জর্ডন ব্রাউন। তার পরেই জর্ডনকে মারেন চরণ। এই ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। হস্তক্ষেপ করেন রেফারি। তিনি চরণকে লাল কার্ড দেখান।
প্রতিপক্ষকে মারায় অনুতপ্ত নন বলেই জানিয়েছেন চরণ। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি স্পার্টান সাউথ মিডল্যান্ডস লিগে খেলি। এটা একটা সেমি প্রো লিগ। তাই রেফারিদের উচিত কারও ধর্মবিশ্বাসকে মর্যাদা দেওয়া।’’ উল্লেখ্য, হেটফোর্ডশায়ার, উত্তর পশ্চিম গ্রেটার লন্ডন, মধ্য বাকিংহ্যামশায়ার ও দক্ষিণ বেডফোর্ডশায়ারকে নিয়ে স্পার্টান সাউথ মিডল্যান্ডস ফুটবল লিগ খেলা হয়।
এই ঘটনা প্রথম বার হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন চরণ। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ম্যাচেই আগেও আমার পাগড়ি খোলার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু রেফারি সেটা দেখেনি। বার বার এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে আবেদন করেছি।’’
পরবর্তী প্রজন্মকে যাতে এই সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয় তার জন্য তিনি এই পদক্ষেপ করেছেন বলে জানিয়েছেন চরণ। বলেছেন, ‘‘রেফারিদের বুঝতে হবে যে পাগড়ি শিখদের কাছে কতটা মূল্যবান। এ ভাবে কারও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করা যাবে না। পরের প্রজন্ম যাতে এই সমস্যায় না পড়ে তার জন্য এটা জরুরি ছিল।’’
চরণের ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই তাঁর প্রশংসা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, প্রত্যেকে নিজেদের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে থাকবে। সেখানে কারও হস্তক্ষেপ করার বা সেই কারণে কাউকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার নেই। যে রেফারি চরণকে লাল কার্ড দেখিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও এখনও ল্যাংফোর্ড বা বেডফোর্ডের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।