গোলের পর সুহেরের উচ্ছ্বাস। ছবি টুইটার
আইএসএল-এ প্রথম জয় তো এলই না, উল্টে ১০ নম্বরে থাকা নর্থইস্টের বিরুদ্ধে কুৎসিত ফুটবল খেলে হেরে গেল এসসি ইস্টবেঙ্গল। খালিদ জামিলের দল জিতল ২-০ ব্যবধানে। লাল-হলুদের প্রাক্তন ফুটবলার ভিপি সুহের প্রথম গোল করলেন। দ্বিতীয় গোল প্যাট্রিক ফ্লোটম্যানের। এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে যেন মধুর প্রতিশোধ নিলেন খালিদ জামিল। দু’টি গোলের পরেই হাঁটু মুড়ে ঘাসে মাথা ঠেকাতে দেখা যায় তাঁকে। শেষ দিকে লাল কার্ড দেখে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নেই আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচ।
কলকাতা ডার্বির পর এসসি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে এই ম্যাচে গোলের নীচে দেখা গেল অরিন্দম ভট্টাচার্যকে। যাঁকে নিয়ে এত প্রশ্ন, সেই রাজু গায়কোয়াড়কেও দলে রেখেছিলেন কোচ ম্যানুয়েল দিয়াস। প্রথমার্ধে দু’দলই নির্বিষ ফুটবল খেলেছে। আক্রমণ হচ্ছিল, তবে তা খুবই ছন্নছাড়া। এসসি ইস্টবেঙ্গল হোক বা নর্থইস্ট, গোলের কাছে গিয়ে কেউই ফিনিশ করে আসতে পারছিল না। প্রথমার্ধে সম্ভবত একে অপরকে পরীক্ষা করে নেওয়ার চেষ্টা করছিল দুই দল।
এ ছাড়া মূলত মাঝমাঠেই খেলা হয়েছে। তবে প্রথমার্ধে নর্থইস্টের তুলনায় কিছুটা ভাল লেগেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। তাদের আক্রমণের সংখ্যাও ছিল বেশি। যত খেলা এগোচ্ছিল, তত তাদের দাপট বাড়ছিল।
সেই দাপটই একেবারে উধাও হয়ে গেল দ্বিতীয়ার্ধে। শেষ ৪৫ মিনিটে অনেক ভাল খেলল নর্থইস্ট। তার সুফলও ম্যাচে পেল তারা। আক্রমণে গতি আনতে নাওরেমকে তুলে বিকাশ জাইরুকে নামিয়েছিলেন দিয়াস। তবে তাতে লাভ হয়নি। ঘণ্টা খানেকের মাথায় এগিয়ে যায় নর্থইস্ট। মাঝমাঠে সেই রাজুর থেকেই বল কেড়ে নেন নর্থইস্টের এক ফুটবলার। সেখান থেকে শুরু আক্রমণ। বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়লেও ভিপি সুহেরকে আটকাতে পারেননি একাধিক লাল-হলুদ ডিফেন্ডার। দু’-তিনজন ডিফেন্ডারকে ঘাড়ে নিয়েই অরিন্দমকে প্রথম পোস্টে পরাস্ত করেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনী সুহের।
সাত মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় নর্থইস্ট। বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রিকিক আলতো টাচে ডান দিকে থাকা সতীর্থকে দিয়ে দেন নর্থইস্টের এক ফুটবলার। সেখান থেকে বক্সে ক্রস ভেসে আসলে ফাঁকায় হেড করেন প্যাট্রিক ফ্লোটম্যান। উল্টে শেষ পর্যায়ে রেফারিকে ধাক্কা মেরে লাল কার্ড খেয়ে পরের ম্যাচে নেই আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচ। নির্বাসিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।