হ্যাটট্রিক করলেন ওগবেচে (বাঁ দিকে)। ছবি টুইটার
মরসুমের দ্বিতীয় কলকাতা ডার্বি ২৯ জানুয়ারি। তার আগে অত্যন্ত চাপে এসসি ইস্টবেঙ্গল। সোমবার হায়দরাবাদ এফসি-র কাছে ০-৪ ব্যবধানে হেরে গেল তারা। শুধু তাই নয়, গোটা ম্যাচে লাল-হলুদ ডিফেন্স এতটাই জঘন্য খেলেছে যে, কলকাতা ডার্বি আগেই প্রমাদ গুণতে শুরু করেছেন সর্মথকরা।
আগের ম্যাচেই এফসি গোয়াকে হারিয়ে উত্তেজনায় ফুটছিল লাল-হলুদ। কিন্তু সোমবারের হায়দরাবাদ ম্যাচ তাদের মাটিতে আছড়ে ফেলল। প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা বার্থোলোমিউ ওগবেচে সোমবার হ্যাটট্রিক করলেন। অপর গোলটি অনিকেত যাদবের। এসসি ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে গোটা ম্যাচে সেই ছন্দ দেখা যায়নি। আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচ মাঠে ফিরলেও ছাপ ফেলতে পারেননি। ড্যারেন সিডোয়েলকে তো জার্সি নম্বর দেখে চিনতে হচ্ছিল।
২১ মিনিটেই প্রথম গোল খায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। শৌভিক চক্রবর্তীর কর্নার থেকে হেড করেছিলেন ওগবেচে। বল লাল-হলুদ গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যের সামনে ড্রপ খেয়ে গোলে ঢুকে যায়। দ্বিতীয় গোল বিরতির দু’মিনিট আগে। এ বার লাল-হলুদ ডিফেন্ডারদের হেলায় কাটিয়ে গোল করেন ওগবেচে। পরের মিনিটেই তৃতীয় গোল। এ বার অনিকেত যাদব ব্যবধান বাড়ান।
প্রথমার্ধে তিন গোলে পিছিয়ে পড়ায় ম্যাচের ভাগ্য কার্যত ওখানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবু ইস্টবেঙ্গলের তরফে গোল শোধ করার মরিয়া প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণ করে যায় হায়দরাবাদই। তার সুফলও পায় তারা। ৭৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে শটে গোল করে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন ওগবেচে। ৮৪ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদের নবাগত ফুটবলার মার্সেলো হায়দরাবাদ বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন। বিপক্ষ গোলকিপার কাট্টিমানি তাঁকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ফ্রানিয়ো পর্চের গড়ানো শট অনায়াসে আটকে দেন কাট্টিমানি। শেষ দিকে অরিন্দম একটি দুরন্ত সেভ না করলে পঞ্চম গোলও খেতে পারত লাল-হলুদ।