—প্রতীকী চিত্র
ভারতে আয়োজিত সাফ কাপে পাকিস্তান অংশ নেবে কি না তা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করছে পাকিস্তান সরকারের উপর। পাকিস্তান ফুটবল দলের এ দেশে আসায় অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ কথা জানিয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা।
২১ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত ভারতে সাফ কাপ হবে। বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি সাজি প্রভাকরণ বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানকে ভারতে আসায় অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, বিদেশমন্ত্রক ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। আমরা আমাদের কাজ করেছি। পাকিস্তানকে আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমাদের তরফ থেকে ভিসায় কোনও সমস্যা হবে না। এ বার পাকিস্তান সরকার ও সে দেশের ক্রীড়ামন্ত্রকের উপর বাকিটা নির্ভর করছে।’’
পাকিস্তান সরকারের ক্রীড়া এবং বিদেশ মন্ত্রকের অনুমতি ছাড়া ভারত সফর করতে পারে না পাকিস্তানের কোনও জাতীয় দল। খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত সফরের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব হাতছাড়া হতে পারে পাকিস্তানের। ক্রিকেট নিয়ে দু’দেশের দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়তে পারে ফুটবল মাঠেও। ভারতে আয়োজিত সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র সরকারের কাছ থেকে এখনও পায়নি পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন (পিএফএফ)।
পিএফএফের অন্যতম কর্তা শাহিদ খোখার বলেছেন, ‘‘সরকারের অনুমতি পাওয়ার পরই আমরা ভারতের ভিসার আবেদন করতে পারব।’’ ভারতের মাটিতে সাফ কাপে অংশগ্রহণের জন্য গত ২৫ মে ক্রীড়া এবং বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছিল পিএফএফ। কিন্তু পাক সরকারের দুই মন্ত্রকই এখনও পর্যন্ত অনুমতি দেয়নি বলে জানিয়েছেন খোখার। শুধু সাফ কাপ নয়, আরও একটি প্রতিযোগিতায় দল পাঠানোর অনুমতিও দেয়নি পাক সরকার। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি হিসাবে মরিশাসে একটি চার দলীয় প্রতিযোগিতা খেলতে যাওয়ার কথা পাকিস্তান ফুটবল দলের। সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অনুমতিও দেওয়া হয়নি পিএফএফকে। মনে করা হচ্ছে, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার অনুমতি না দিলে মরিশাস সফরের অনুমতিও দেওয়া হবে না। মরিশাসের প্রতিযোগিতাটি হওয়ার কথা ১১ থেকে ১৭ জুন। অর্থাৎ এক সপ্তাহও সময় নেই।
খোখার বলেছেন, ‘‘বৃহস্পতিবার মরিশাসে দল পাঠানোর কথা আমাদের। সেখান থেকে ফুটবলাররা চলে যাবে ভারতে। এমনই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখনও আমরা সরকারি অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছি। সরকারের অনুমতি ছাড়া আমরা ভারতীয় ভিসার আবেদন করতে পারছি না। কারণ ভারত পুরো দলকে এক সঙ্গে ভিসা দেয় না। প্রত্যেক জনের আলাদা আলাদা ভিসা হয়। তাড়াতাড়ি অনুমতি না পেলেও মরিশাস থেকে ফুটবলারদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তার পর ভারতের ভিসার আবেদন করতে হবে। সব মিলিয়ে আমরা কিছুটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। আশা করছি দল মরিশাসের বিমানে ওঠার আগেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ফুটবলাররা সবাই ভারতে সাফ কাপ খেলতে ভীষণ আগ্রহী।’’
ভারত এবং পাকিস্তান ফুটবল মাঠে শেষ বার মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। ঢাকায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেই সেমিফাইনালে ভারত জিতেছিল ৩-১ গোলে। পাক দল ভারত সফরের অনুমতি পেলে প্রায় পাঁচ বছর পর ফুটবলের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দু’দেশ। ২১ জুন প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচেই দু’দলের মুখোমুখি হওয়ার কথা।