ইগর স্তিমাচ। — ফাইল চিত্র
ঘরের মাঠে সদ্য সাফ কাপ জিতেছে ভারতীয় ফুটবল দল। তার পরেই অশান্তির আঁচ শিবিরে। এ বার মুখোমুখি কোচ ইগর স্তিমাচ এবং সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা (এআইএফএফ)। পরের বছরের জানুয়ারিতে এশিয়ান কাপের আগে এক মাসের জাতীয় শিবির চেয়েছেন স্তিমাচ। না হলে তাঁর বার্তা, ফলাফল যা খুশি হতে পারে। কিন্তু সেই সময় পাওয়া সম্ভব নয়, তা জানিয়ে দিয়েছেন ফেডারেশন কর্তারা। ফলে আগামী দিনে কোচের সঙ্গে কর্তাদের বিরোধ লাগতে পারে।
অনেক দিন আগে থেকেই চার সপ্তাহের প্রস্তুতি শিবির করার কথা বলে আসছেন স্তিমাচ। সন্দেশ জিঙ্ঘন, অনিরুদ্ধ থাপার মতো জাতীয় দলের ফুটবলাররাও দীর্ঘ শিবিরের পক্ষপাতী। সাম্প্রতিক অতীতে দীর্ঘ শিবির করার কারণেই ভাল ফলাফল হয়েছে।
সাফ জেতার পর স্তিমাচ বলেছেন, “ফুটবলাররা একসঙ্গে দীর্ঘ দিন থাকলে একটা আলাদা পরিবেশ তৈরি হয়, যা ভারতীয় ফুটবলের জন্যে ভাল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা ভাল দল হয়ে উঠেছি। এখন আমাদের খেলা দেখতে সবার ভাল লাগে। যদি আগামী দিনে বেশি সময় অনুশীলন করার সুযোগ না পাই, তা হলে ফলাফলের জন্যে দলের ফুটবলার বা সাপোর্ট স্টাফেরা দায়ী থাকবে না।”
আইএসএল যারা আয়োজন করে, সেই এফএসডিএল কী ভাবে সূচি তৈরি করছে তার উপর সব নির্ভর করছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আইএসএল শুরু হয়ে শেষ হবে এপ্রিলে। এশিয়ান কাপের জন্যে মাঝে এক মাস বিরতি থাকবে। কিন্তু স্তিমাচ চান প্রস্তুতির জন্যেই আরও বেশি সময়। সে ক্ষেত্রে আইএসএল অন্তত দু’মাস বন্ধ রাখতে হবে।
এআইএফএফের সেক্রেটারি জেনারেল শাজি প্রভাকরণ বলেছেন, “আইএসএলের থেকে প্রাথমিক সূচি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। তা হলে জাতীয় দলের অনুশীলন সম্পর্কে বলতে পারব। কিন্তু প্রস্তুতির জন্যে এক মাস সময় দেওয়া কার্যত অসম্ভব। আমরা সমস্ত ফিফা উইন্ডো (যে সময় ফিফা স্বীকৃত ম্যাচগুলি খেলা হয়) ব্যবহার করছি। এশিয়ান কাপের আগেও বিরতি থাকবে।”
সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মাঝে ফিফার তিনটি উইন্ডো থাকবে। এই সময় ভারত খেলবে কিংস কাপ, মারডেকা কাপ এবং বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ। শাজি বলেছেন, “দলের স্বার্থ আমাদেরই দেখতে হবে এবং যেটা দরকার সেটা করতে হবে। কিন্তু আমরা কিছুই করিনি এটা কেউ বলতে পারবে না। সূচিতে ভারসাম্য রাখতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগে ফুটবলারদের ছেড়ে দেওয়ার কথা আমরা ক্লাবগুলোকে বলতে পারি না।”