সুনীল ছেত্রী। —ফাইল চিত্র
গোটা ম্যাচ জুড়ে একের পর এক সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারছিল না ভারত। বাংলাদেশের গোলের সামনে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন মিতুল মার্মা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না তিনি। ৮৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করলেন সুনীল ছেত্রী। সেই একমাত্র গোলেই জিতল ভারত। সেই সঙ্গে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন বেঁচে থাকল ভারতের। গ্রুপের শেষ ম্যাচে মায়ানমারের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন সুনীলেরা।
আগের ম্যাচে চিনের কাছে ১-৫ গোলে হারায় চাপ ছিল ভারতের। সেটা বোঝা যাচ্ছিল ভারতের খেলা। ফিফা ক্রমতালিকায় ৮৭ ধাপ নীচে থাকা বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও সংঘবদ্ধ আক্রমণ তুলে আনতে সমস্যা হচ্ছিল সুনীলদের। গতিতে মাঝে মাঝে ভারতের ফুটবলারদের টেক্কা দিচ্ছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলারেরা। কিন্তু দু’দলই গোলের সামনে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিল। ফলে গোল আসছিল না।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে সব থেকে ভাল সুযোগ পায় ভারত। ব্রাইস মিরান্ডার ক্রস থেকে বক্সের ভিতরে বল পান সুনীল। তাঁর ডান পায়ের শট বাঁচিয়ে দেন মিতুল। ফিরতি বলে শট মারেন রাহুল কেপি। সেই শটও বাঁচান মিতুল। ফিরতি বলে তৃতীয় বার সুযোগ পায় ভারত। এ বার মিরান্ডার হেডও ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক। ফলে গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল করার জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। আক্রমণে লোক বাড়ানোয় মাঝে মধ্যে প্রতিআক্রমণ থেকে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের গোলের সামনে সন্দেশ জিঙ্ঘনের নেতৃত্বে রক্ষণ সেই সব আক্রমণ প্রতিহত করেন। ৬৪ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে ফ্রি কিক থেকে মিরান্ডার জোরালো শট পোস্টে লেগে ফেরে।
সময় যত বাড়ছিল তত ভারতের উপর চাপ বাড়ছিল। সুনীলেরা জানতেন, এই ম্যাচ জিততে না পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ তাঁদের নিজেদের হাতে আর থাকবে না। ৭৭ মিনিটের মাথায় গোল করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ভাল বাঁচান গোলরক্ষক ধীরাজ সিংহ। ৮৩ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে মিরান্ডাকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ভারত। গোলরক্ষকের ডান দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন সুনীল। এগিয়ে যায় ভারত।
বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করেও গোল শোধ করতে পারেনি বাংলাদেশ। হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। এই জয়ের ফলে ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট ভারতের। চীন ও মায়ানমারের পয়েন্টও ৩। ভারতের পরের ম্যাচ মায়ানমারের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ জিতলেই পরের রাউন্ড প্রায় পাকা হয়ে যাবে সুনীলদের।
(ভ্রম সংশোধন: এই প্রতিবেদনে প্রথমে লেখা হয়েছিল ভারত কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারে। কিন্তু ভারতের সামনে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আশা রয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)