TET Scam

‘আসল উত্তরপত্র ছাড়া যাচাই করলেন কী ভাবে?’ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে প্রশ্ন হাই কোর্টের

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি সিংহ নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাঁদের বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, তাঁদের তালিকা পর্ষদের হাতে দিতে হবে সিবিআই, ইডিকে। সেই তালিকা যাচাই করে রিপোর্ট দিয়েছে পর্ষদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:২০
Share:

বিচারপতি অমৃতা সিংহ। — ফাইল চিত্র।

আসল উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) নেই। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং সিবিআইয়ের দেওয়া রিপোর্ট কী ভাবে যাচাই করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ? বৃহস্পতিবার সেই প্রশ্নই তুললেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। তিনি প্রশ্ন তুললেন, ‘‘কারা বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছে, আপনারা জানলেন কী ভাবে? যাচাই করলেন কী করে? যেখানে আসল উত্তরপত্র নেই বলে জানিয়েছেন আপনারাই।’’

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি সিংহ নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাঁদের বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, তাঁদের তালিকা পর্ষদের হাতে দিতে হবে সিবিআই, ইডিকে। পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ইডি, সিবিআই যে তথ্য দেবে, তা যাচাই করে হাই কোর্টে জমা করতে হবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট যাচাই করে পর্ষদ বৃহস্পতিবার রিপোর্ট দিয়েছে। সিবিআই পর্ষদকে যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে বেআইনি ভাবে নিযুক্তদের তালিকা রয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী, ৯৬ জনের নিয়োগ হয়েছিল, যাঁরা ২০১৪ সালে টেট পাস করেননি। চার জন টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন। ৪৬ জন প্রশিক্ষিত না হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ পেয়েছিলেন। সিবিআইয়ের সেই রিপোর্ট পর্ষদ যাচাই করে হাই কোর্টে জমা দিয়েছে।

ইডিও পর্ষদের কাছে বেআইনি নিয়োগের তালিকা দিয়েছে। সেই তালিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। তাই পর্ষদ হাই কোর্টকে জানিয়েছে, ইডির তালিকা নিয়ে তারা কিছু বলবে না।

Advertisement

এর পরেই বিচারপতি সিংহ পর্ষদকে বলেন, ‘‘কারা বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছে আপনারা জানলেন কী ভাবে? যাচাই করলেন কী করে? আসল উত্তরপত্র নেই। আপনারাই বলছেন, আসল উত্তরপত্র নষ্ট করা হয়েছে। তা হলে যাচাই করলেন কী করে?’’ বিচারপতির আরও প্রশ্ন, ডিজিটাইজ়ড কপির সঙ্গে আসল উত্তরপত্রের মিল নেই। তা হলে যাচাই হল কী করে? পর্ষদের আইনজীবী জানিয়েছেন, যে কোনও নথি ‘ম্যানিপুলেট’ করা যায়। তা হলে প্রশ্ন উঠছে, সিবিআইয়ের রিপোর্ট কী ভাবে যাচাই করছে পর্ষদ।

মামলাকারীদের প্রশ্ন, উত্তরপত্র নষ্ট করা হয়েছে। বলছে, ডিজিটাইজ়়ড হচ্ছে। যতই প্রযুক্তির ব্যবহার হোক, হার্ড ডিস্ক তো থাকবেই। তা হলে সেটা কোথায়। এই মামলার শুনানির পরবর্তী অংশ দুপুর ২টোয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement