গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ হয়ে অনেক বারই আলোচনায় এসেছে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের এই মন্দির। এ বার সেই কিরীটেশ্বরীকে দেশের ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’ হিসাবে মনোনীত করল কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) এ কথা জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার কিরীটেশ্বরীকে ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক ভারতের সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে নির্বাচিত করেছে। দেশের ৩১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত ৭৯৫টি আবেদনের মধ্যে ২০২৩ সালের ‘সেরা পর্যটন গ্রাম প্রতিযোগিতা’ হয়েছিল। সেখানেই এই নির্বাচন হয়েছে৷ আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে হবে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। আমি ওই গ্রামের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানাই। জয় বাংলা!’’
মুর্শিদাবাদের দহপাড়া রেলস্টেশন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কিরীটেশ্বরী গ্রামে মন্দিরের অবস্থান। জনশ্রুতি, সেখানে সতীর মুকুট বা কিরীট পড়েছিল। সেই কারণে দেবীকে ‘মুকুটেশ্বরী’ বলেও ডাকা হয়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৪০৫ সালে দেবীর প্রাচীন মন্দিরটি ভেঙে পড়ে। তার পরে উনবিংশ শতকে লালগোলার রাজা দর্পনারায়ণ রায় নতুন মন্দির নির্মাণ করান। পরবর্তী সময়ে মন্দিরের জন্য জমি দান করেছিলেন স্থানীয় মুসলিমদের একাংশ। প্রতি পৌষে মহামায়ার পুজো উপলক্ষে মন্দির চত্বরের ওই জমিতে মেলা বসে। আয়োজনের মূল দায়িত্বে থাকেন মুসলিমরাই।