সুনীল ছেত্রী। — ফাইল চিত্র।
এশিয়ান গেমস খেলতে রবিবারই চিনের হ্যাংঝাউয়ের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে ভারতীয় দল। যাওয়ার আগে কোচ ইগর স্তিমাচ কথা বললেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। ভারতীয় কোচের প্রতিটি কথায় হতাশা, ব্যথা এবং যন্ত্রণা ধরা পড়ল। একই সঙ্গে তিনি কিছুটা বিরক্তও। যে ভাবে দেরি করে ফুটবলারদের পাওয়া গিয়েছে, তাতে খুশি নন তিনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন চিনের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলাবেন না সুনীল ছেত্রী এবং সন্দেশ জিঙ্ঘনকে।
রবিবার রাতে হংকংয়ের উদ্দেশে রওনা হবে ভারতীয় দল। ছ’ঘণ্টার বিমান ধরে হংকংয়ে পৌঁছনোর পর সেখান থেকে বিমান ধরে যাবেন হ্যাংঝাউ। পৌঁছবেন বিকেল ৫টা নাগাদ। অর্থাৎ, চিনের বিরুদ্ধে বিনা প্রস্তুতিতে নামবে ভারত। ফুটবলারদের যাতে চোট-আঘাত না লাগে সে কথা ভেবেই প্রথম সারির খেলোয়াড়দের নামাবেন না।
স্তিমাচ বলেছেন, “চিন ম্যাচ নিয়ে ভাবছিই না। সন্দেশ এবং সুনীলকে দেখতে না পেলে অবাক হবেন না। ওদের প্রথম ম্যাচে খেলাতে চাই না। আমি বাংলাদেশ এবং মায়ানমার ম্যাচ নিয়ে ভাবছি।” চিনের শক্তির কথা বলে স্তিমাচের সংযোজন, “এই চিন দলটা অনেক দিন ধরে খেলছে। সাম্প্রতিক কালে বেশ শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে। ওরা ৪-৪-২ ছকে খেলে। স্ট্রাইকারটা দুর্দান্ত। এই দলের জন্যে ওরা অনেক বিনিয়োগ করেছে। আমাদেরই ভাবতে হবে এই ম্যাচের জন্যে সেরাটা নিংড়ে দেব নাকি পরের ম্যাচের জন্য তুলে রাখব।”
প্রস্তুতির অভাব নিয়ে মোটেই খুশি নন স্তিমাচ। জানিয়েছেন, এশিয়ান গেমসের ব্যাপারে বিমানেই ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। স্তিমাচের কথায়, “শুরু থেকে প্রস্তুতি শিবিরের দাবি করে আসছিলাম। সেখান থেকে ম্যাচের আগে অবশেষে সব ফুটবলারকে পেয়েছি। এতেই আমাদের খুশি হওয়া উচিত তাই না? জাতীয় দলের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। আমি তো দলের জন্যেই সব চেয়েছিলাম। নিজের জন্যে নয়।”
যে দল দেওয়া হয়েছে তাতে যে ভাল কিছু করা সম্ভব নয় এটা রবিবার স্তিমাচের কথাতেই পরিষ্কার। দলের একাধিক পজিশনে সঠিক ফুটবলারের অভাব রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। স্তিমাচ বলেছেন, “হয়তো গ্রুপ থেকে পরের পর্বে যাব। কিন্তু ভাগ্যের সাহায্য দরকার। ছেলেদের সেরা ফুটবলটা খেলতে হবে। খেলোয়াড়দের মান কী রকম সেটার থেকেও বড় কথা, কত তাড়াতাড়ি ওরা কোচের দর্শনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করছে।”