Mohun Bagan

অভিষেকের ক্লাবের কাছে হেরেও কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে মোহনবাগান

কলকাতা লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হেরে গেল মোহনবাগান। রবিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে ডায়মন্ড হারবার এফসি-র কাছে ০-১ গোলে হারল তারা। প্রতিযোগিতায় এটাই প্রথম হার তাদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:০৭
Share:

মোহনবাগান-ডায়মন্ড হারবার ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি: টুইটার।

কলকাতা লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হেরে গেল মোহনবাগান। রবিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে ডায়মন্ড হারবার এফসি-র কাছে ০-১ গোলে হারল তারা। বিপক্ষকে অনেকটা সময়ে দশ জনে পেয়েও কিছু করতে পারল না মোহনবাগান। তবে সুপার সিক্সে উঠতে অসুবিধা হল না। ১২ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সে চলে গেল মোহনবাগান। তবে ইস্টবেঙ্গল (৩০) এবং মহমেডানের থেকে (২৯) কিছুটা পিছিয়ে থেকে সুপার সিক্সে শুরু করবে তারা। কারণ গ্রুপের পয়েন্ট সুপার সিক্সেও যোগ হবে। ডায়মন্ড হারবারের জয়ে উচ্ছ্বসিত সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইট করে দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

কোচ বাস্তব বায় নির্বাসনের কারণে ছিলেন না। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে খেলতে যাওয়া ফুটবলারদের প্রথম একাদশে ফিরিয়েছিল মোহনবাগান। সুহেল ভাট, লালরিনলিয়ানা হামতে, কিয়ান নাসিরিরা ফিরেছিলেন প্রথম একাদশে। কিন্তু ম্যাচ শুরুর পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল খেয়ে যায় মোহনবাগান।

বাঁ দিকে বল পেয়ে মোহনবাগানের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে সামনে উঠে যান ডায়মন্ডের সুপ্রিয় পণ্ডিত। সেখান থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করেন তিনি। গোলের পর মোহনবাগানের খেলোয়াড়েরাও বিস্ময়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।

Advertisement

তবে ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেয়নি তারা। ধীরে ধীরে খেলা তৈরি করতে থাকেন সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা। কিন্তু ডায়মন্ড হারবারের রক্ষণের কাছে বার বার আটকে যাচ্ছিল তারা। পাল্টা ডায়মন্ড হারবারও চেষ্টা করছিল প্রতি আক্রমণের। ১৯ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের একটি প্রচেষ্টা বাঁচিয়ে দেন ডায়মন্ডের সুস্নাত মল্লিক।

প্রথমার্ধ যত গড়াচ্ছিল তত মোহনবাগানের আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ছিল। চাপের মুখে ডায়মন্ড হারবারের অয়ন মণ্ডল দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। অর্থাৎ গোটা দ্বিতীয়ার্ধ মোহনবাগানের সামনে ১০ জনে খেলেছে বিপক্ষ। তার ফায়দাও তুলতে পারেনি সবুজ-মেরুন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ভাল ফুটবল খেলছিল মোহনবাগান। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে এসে থেমে যাচ্ছিল তাদের আক্রমণ। ৫৩ মিনিটের মাথায় কিয়ান নাসিরি একটি ভাল বল বাড়িয়েছিলেন সুহেলের উদ্দেশে। বিপক্ষ গোলকিপার তার আগেই বল ধরে নিলেন।

৬১ মিনিটের মাথায় আরও এক বার গোলের সামনে চলে এসেছিলেন সুপ্রিয়। কোনও মতে গোলকিপার দেবনাথ মণ্ডলের সৌজন্যে সে যাত্রায় বেঁচে যায় মোহনবাগান। ৬৫ মিনিটে ডায়মন্ড হারবারের রাহুল পাসোয়ান একটি সুযোগ নষ্ট করেন। ৭৬ মিনিটের মাথায় ফাঁকা গোল পেয়েও সুযোগ নষ্ট করে মোহনবাগান। বাকি সময়ে তারা আর গোল করতে পারেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement