উচ্ছ্বাস: ম্যাচে ম্যান সিটির প্রথম গোল করে হালান্ড। ছবি: রয়টার্স।
কাতার বিশ্বকাপ শেষ। ইংল্যান্ডে শুরু হয়েছে ক্লাব ফুটবল। সোমবার থেকে আবার শুরু হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। তার আগে কারাবাও কাপে বৃহস্পতিবার এতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ৩-২ গোলে হারিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে। শেষ আটে ম্যান সিটি খেলবে সাদাম্পটনের বিরুদ্ধে।
রুদ্ধশ্বাস দ্বৈরথে খেলার ১০ মিনিটেই আর্লিং হালান্ড ম্যান সিটিকে ১-০ এগিয়ে দেন। তার দশ মিনিট পরে লিভারপুলের ফাবিয়ো কার্ভালহো সমতা ফেরান। আবার পেপ গুয়ার্দিওলার দল ২-১ করে ৪৭ মিনিটে। গোলদাতা রিয়াদ মাহরেজ়। যদিও ম্যান সিটির দ্বিতীয় গোলের এক মিনিট পরেই (দ্বিতীয়ার্ধে) ২-২ করেন মহম্মদ সালাহ।
আক্রমণ-প্রতিআক্রণে ভরপুর এই লড়াইয়ে সালাহের গোলের দশ মিনিট পরে নাথান আকে ম্যান সিটিকে ৩-২ এগিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত এই ফলেই জয় পায় এতিহাদের ক্লাব।
প্রসঙ্গত নরওয়ে বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় হালান্ডের কাতারে খেলা হয়নি। দীর্ঘ বিশ্রামের পরে তিনি মাঠেও ফিরলেন স্বমহিমায়। যদিও ম্যাচের প্রথম মিনিটেই তিনি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। তবে ১০ মিনিটে কেভিন দ্য ব্রুইনের নিখুঁত ক্রস থেকে গোল করতে ভুল করেননি। ম্যাচের পরে নরওয়ে তারকা জানিয়ে দেন, ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই। তিনি বলেছেন, “আগামী দিনে আমি অথবা কিলিয়ান মেসি এবং রোনাল্ডোর জায়গা নেব কি না, তা নিয়ে বলার মতো সময় আসেনি। এই মুহূর্তে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা আমার পক্ষে অসম্ভব।”
ম্যান সিটি তারকা আরও বলেন, “আমি নিজেকে কারও সঙ্গে তুলনা করার বিষয় পছন্দ করি না আদৌ। নিজের খেলা ধরে রাখতে পারলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। তার জন্য কারও সঙ্গে নিজের তুলনা করার প্রয়োজন নেই।” জানিয়ে দেন, “এমবাপের বিরুদ্ধেও আমাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু ওর সঙ্গে আমার কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাই নেই।”
ফাবিয়োর সমতা ফেরানোর গোলটা জেমস মিলনারের ক্রস থেকে। তার ঠিক আগেই আবার নুনেজ় গোমেজের শট পোস্টে প্রতিহত হয়। প্রমধার্ধে ফল ছিল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই একটা উঁচু বল বুক দিয়ে নামিয়ে নিখুঁত প্লেসিংয়ে ২-১ করেন মাহরেজ়। আর সালাহকে গোলের পাস সাজিয়ে দেন নুনেজ়। বিশ্বকাপে ম্লান দেখালেও লিভারপুলের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দ্য ব্রুইন কিন্তু চমৎকার ফুটবল উপহার দিলেন। তাঁর নিখুঁত ক্রস থেকে অ্যাকেও ৩-২ করে যান।
প্রসঙ্গত, লিভারপুল গত বারের চ্যাম্পিয়ন হলেও এ বার তারা কারাবাও কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারল না! লিভারপুল ম্যানেজের য়ুর্গেন ক্লপ জানিয়েছেন, কারাবাও কাপেও গোল প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত ছিল। সঙ্গে এ-ও জানিয়ে দেন, তিনটি গোলই তাঁর দল নিজেদের নির্বুদ্ধিতায় হজম করেছে।