নতুন পেশাতেও সাফল্য পাচ্ছেন প্রাক্তন রেফারি ভ্যালেরিয়া আন্দ্রেদ। ছবি: টুইটার।
বিশ্বের অন্যতম সুন্দরী ফুটবল রেফারি ছিলেন তিনি। দক্ষ হাতে ম্যাচ পরিচালনা করে নজর কেড়েছিলেন ভ্যালেরিয়া আন্দ্রেদ। ম্যাচ পরিচালনার দক্ষতা এবং সৌন্দর্যের জন্য ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। অথচ তাঁকে এক রকম তাড়িয়ে দিয়েছিল মেক্সিকোর ফুটবল সংস্থা। সেই ভ্যালেরিয়াই এখন সমাজমাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছেন। নতুন পেশাতেও সাফল্য পাচ্ছেন।
ঘটনাটি বছর খানেক আগের। সমাজমাধ্যমে একটি জুয়া সংস্থার হয়ে বিজ্ঞাপন করেছিলেন ভ্যালেরিয়া। সংস্থাটি ভ্যালেরিয়ার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল। কারণ, ৩০ বছরের প্রাক্তন রেফারি সমাজমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।
সেই জুয়া সংস্থার হয়ে প্রচার করেছিলেন ভ্যালেরিয়াও। বিষয়টি জানার পর দেশের অন্যতম প্রতিশ্রুতিমান মহিলা রেফারিকে সতর্ক করেছিলেন মেক্সিকোর ফুটবল কর্তারা। কিন্তু তখন ফুটবল সংস্থার আপত্তি কানে তোলেননি তিনি। শাস্তি হিসাবে সংস্থার দুর্নীতি বিরোধী নিয়ম মেনে ভ্যালেরিয়ার ফুটবল মাঠে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে তাঁকে আর কোনও ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল মেক্সিকোর ফুটবল সংস্থা। অথচ ভ্যালেরিয়ার দক্ষতায় খুশি মেক্সিকোর ফুটবল কর্তারা তাঁকে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দিচ্ছিলেন। মেক্সিকোর সর্বোচ্চ লিগ লিগা এম এক্সের একাধিক ম্যাচে সহকারী রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন ভ্যালেরিয়া।
ফুটবল মাঠ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর সমাজমাধ্যমকে আঁকড়ে নতুন পেশা বেছে নিয়েছেন ভ্যালেরিয়া। নানা ভাবে মানুষকে উদ্বুদ্ধ, উৎসাহিত করার চেষ্টা করেন তিনি। হতাশা থেকে নিজের ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেন। এই কাজ শুরুর পর থেকে সমাজমাধ্যমে ভ্যালেরিয়ার জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। তৈরি করেছেন নিজের পেজ ‘ওনলিফ্যানস’। গত এক বছরে ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৪৯ হাজারের বেশি। নিজের বেশ কিছু সাহসী ছবিও সমাজমাধ্যমে দিয়েছেন ভ্যালেরিয়া। তাঁর দাবি, অবসর সময় এই ছবিগুলি তোলেন। মানুষকে আনন্দ দিতেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন ছবি। তাঁর ভক্তদের দাবি, এখন আরও জনপ্রিয় হয়েছেন ভ্যালেরিয়া। তাঁর কথা শুনে অনেকেই হতাশা মুক্ত হন। অনুরাগীদের অনুরোধেই নতুন পেশা বেছে নিয়েছেন ভ্যালেরিয়া।
শাস্তির সিদ্ধান্ত জেনে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন ভ্যালেরিয়া। বিশ্বের অন্যতম সুন্দরী রেফারি বলেছিলেন, ‘‘মনে হচ্ছে কাউকে মেরে ফেলি। মানুষ অনেক সময় অনেক বড় অপরাধ করে। আমি তো কাউকে হত্যা করিনি। কাউকে ধর্ষণও করিনি। চাই না কেউ আমার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করুক। আমি যথেষ্ট কালিমালিপ্ত হয়েছি। একটা ভুলের জন্য আমাকে এত বড় শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’’