মেসির হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় দেখে যেতে পারেননি মারাদোনা। —ফাইল চিত্র
লিয়োনেল মেসিরা বিশ্বকাপ জিতলে পোশাক খুলে নাচবেন বলে কথা দিয়েছিলেন দিয়েগো মারাদোনা। কিন্তু পারেননি তিনি। মেসিদের বিশ্বকাপ জেতা দেখা হয়নি মারাদোনার। কিন্তু তাঁর কথা রাখলেন আর্জেন্টিনার এক তরুণী। আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরিসের বিখ্যাত ওবেলিস্ক সৌধর সামনে পোশাক না পরে নাচতে দেখা গেল তাঁকে।
বিশ্বকাপ জেতার পরে উৎসবের মরসুম গোটা আর্জেন্টিনা জুড়ে। কিন্তু বুয়েনস আইরেস সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে। বিশ্বকাপ জেতার পর থেকেই রাস্তায় কাতারে কাতারে মানুষ। মেসিরা সেখানে পৌঁছনোর পরে হুডখোলা বাসে চাপিয়ে তাঁদের আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে উৎসব করেছেন জনতা। সেখানেই দেখা গিয়েছে ওই তরুণীকে।
ওবেলিস্ক সৌধর ঠিক সামনেই বিনা পোশাকে নাচছিলেন তিনি। কাছাকাছি বয়স্ক মানুষ থেকে শিশু থাকলেও বিশেষ পাত্তা দেননি তিনি। অবশ্য তাঁর দিকেও যে বাকিরা তেমন নজর রাখছিলেন তা নয়। সবাই নিজের মতো উৎসবে ব্যস্ত ছিলেন। ওই তরুণীর পরিচয় অবশ্য জানা যায়নি।
২০১০ সালে আর্জেন্টিনার কোচ ছিলেন মারাদোনা। তিনি জানিয়েছিলেন, মেসিরা বিশ্বকাপ জিতলে ওবেলিস্ক সৌধের সামনে পোশাক খুলে নাচবেন তিনি। কিন্তু মারাদোনার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সে বার কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। আর এ বার যখন মেসিরা বিশ্বকাপ জিতলেন তখন মারাদোনা বেঁচে নেই। তাতে কী? মারাদোনার কথা রাখলেন ওই তরুণী।
৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে লুসাইল স্টেডিয়ামেও জামা খুলে ফেলেছিলেন আর্জেন্টিনার দুই তরুণী। কাতারের আইন অনুযায়ী মহিলারা খোলামেলা এবং শরীর চাপা পোশাক পরতে পারেন না। আইনি ঝুঁকির কথা জেনেও শরীরের উপরের অংশ অনাবৃত করেছিলেন তাঁরা। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁদের উচ্ছ্বাসের ছবি। পরেও নিজেদের একাধিক খোলামেলা ছবি সমাজমাধ্যমে দিয়েছিলেন তাঁরা। অনেকেই মনে করেছিলেন, আর্জেন্টিনার দুই তরুণী সমস্যায় পড়বেন। কাতারের কড়া আইনের জাল ছিঁড়ে তাঁদের দেশে ফেরা সহজ হবে না। অথচ তাঁরা নির্বিঘ্নেই আর্জেন্টিনা ফিরে গিয়েছেন। দেশে ফেরার সময় বিমানের মধ্যে নিজেদের ছবিও দিয়েছেন তাঁরা। সঙ্গে লিখেছেন, কাতার সফর তাঁরা দারুণ উপভোগ করেছেন।