এমবাপের কুশপুতুল পোড়ানো নিয়ে তীব্র বিতর্ক। ফাইল ছবি
শুরুটা করেছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। এ বার তা ছড়িয়ে পড়ল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যেও। ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে দেশবাসীর মধ্যেও মজা করা শুরু হয়ে গিয়েছে, যা কোনও কোনও সময় মাত্রা ছাড়িয়ে চলে গিয়েছে নোংরামির পর্যায়ে। লিয়োনেল মেসিরা দেশে ফেরার পর বুয়েনোস আইরেসে এখনও চলছে উৎসবের মেজাজ। তার মাঝেই একটি দৃশ্য দেখা গিয়েছে, যেখানে পোড়ানো হচ্ছে এমবাপের কুশপুতুল, যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
টুইটারে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিয়ো, যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি লাঠিতে আটকানো রয়েছে কফিনের ঢাকনা, যার উপরে এমবাপের একটি ছবি আটকানো। সেই কফিনের ঢাকনাটি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশপাশে থাকা কয়েকশো সমর্থক তখন এমবাপের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে নাচানাচি করছেন। আর্জেন্টিনার এক সংবাদমাধ্যম সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছে, “কিলিয়ান এমবাপের ২৪তম জন্মদিনে দারুণ উপহার দিল আর্জেন্টিনার মানুষ।”
বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই নাগাড়ে এমবাপেকে আক্রমণ করে চলেছেন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস। ফাইনালের পর সাজঘরে গিয়ে সতীর্থদের এক মিনিট নীরবতা পালনের অনুরোধ করেন এমবাপের জন্য । তার পরে বুয়েনোস আইরেসে হুডখোলা বাসে উচ্ছ্বাস করার সময় হাতে একটি পুতুল ধরে ছিলেন, যেখানে ছিল এমবাপের মুখ। এখন সেই জিনিস ছড়িয়ে গিয়েছে সমর্থকদের মধ্যেও। এই কাণ্ডে ব্যাপক ক্ষুব্ধ সাংবাদিক পিয়ার্স মর্গ্যান। বলেছেন, “এমবাপেকে নিয়ে এ ভাবে মজা করার অনুমতি কেন দিচ্ছে মেসি? ওরা পিএসজি-তে সতীর্থ। কোনও কৃতজ্ঞতা নেই দেখছি।”
বিশ্বকাপে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চেই বিতর্কে জড়ান মার্তিনেস। হাতে সোনার গ্লাভস নিয়ে তা নিজের যৌনাঙ্গের সামনে ধরেন। সেই ভঙ্গির কারণ হিসাবে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্তিনেস বলেন, “ফরাসি ফুটবলাররা আমাকে কটূক্তি করছিল। সেই কারণেই ওদের জবাব দিয়েছিলাম। আমি ভাবমূর্তি নিয়ে ভাবি না।”
আপাত ভাবে পুরস্কার প্রাপ্তির উচ্ছ্বাস প্রকাশ মনে হলেও তাঁর সেই ভঙ্গি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সমাজমাধ্যমে অনেকেই বিশ্বজয়ী গোলরক্ষকের আচরণের সমালোচনা করেছেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে কাকে বা কাদের উদ্দেশে এবং কেন তিনি এমন করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুধু ফাইনালের পর পুরস্কার নেওয়ার সময় নয়, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পরেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল মার্তিনেসের আচরণ ঘিরে। ম্যাচের পর নেদারল্যান্ডস কোচ লুই ফান হালের সামনে গিয়ে খারাপ অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বিতর্ক তৈরি হলেও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তাঁর।