বাবা এবং সন্তানের চিতাভস্ম রাখা আছে রোনাল্ডোর বাড়িতে। —ফাইল চিত্র
যমজ সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ছিল জর্জিনিয়া রডরিগেজের। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বান্ধবী এ বছর ১৮ এপ্রিল একটি সন্তানের জন্ম দেন। অন্য সন্তান জন্মের সময়ই মারা যায়। সেই সন্তানের চিতাভস্মের সঙ্গেই কথা বলেন রোনাল্ডো।
বাবা এবং সন্তানের চিতাভস্ম রাখা আছে রোনাল্ডোর বাড়িতে। তিনি বলেন, “সারা জীবন রেখে দেব এটা আমার কাছে। কখনও সমুদ্রে বা নদীতে ফেলে দেব না। আমার বাড়ির নীচে ছোট একটা চার্চ আছে। সেখানে রেখে দিয়েছি দু’জনের চিতাভস্ম। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলি। আমার মনে হয় ওরা আমার পাশেই আছে।”
রোনাল্ডোর সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা মেনে নিতে পারেনি তাঁর অন্য সন্তানরা। রোনাল্ডো এবং জর্জিনিয়া হাসপাতাল থেকে ফেরার পর একজন সন্তানকে দেখে অবাক হয়ে যায় বাকিরা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডোর নানা মন্তব্য নিয়ে ঝড় উঠেছে। তাঁর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে খেলার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। সেই সাক্ষাৎকারেই রোনাল্ডো জানিয়েছেন, তাঁর সন্তানের মৃত্যুর পর বাড়ির অবস্থার কথা। রোনাল্ডো বলেন, “জর্জিনিয়া বাড়ি ফেরার পর অন্য সন্তানরা বলতে থাকে, আরও এক জন কোথায়? ওদের বুঝতে এবং মেনে নিতে সময় লেগেছিল। এক সপ্তাহ পর আমি ঠিক করি ওদের সত্যিটা জানানো দরকার। আমাদের ছেলে ‘অ্যাঞ্জেল’ স্বর্গে চলে গিয়েছে। এটাই জানিয়েছিলাম ওদের।”
ছ’মাস আগে রোনাল্ডো জানান, তাঁর এক সন্তানের মৃত্যুর কথা। তিনি জানিয়েছিলেন, অ্যাঞ্জেল তাদের পরিবারের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। রোনাল্ডো বলেন, “ওরা বুঝেছিল। একসঙ্গে টেবিলে বসে গল্প করার সময় ওরা বলে, এটা আমি অ্যাঞ্জেলের জন্য করেছি। বলে আকাশের দিকে আঙুল দেখায়। এটা আমার খুব পছন্দের, কারণ অ্যাঞ্জেল আমাদের জীবনের অঙ্গ। আমি সন্তানদের কোনও মিথ্যে বলিনি। সত্যি কথাই বলেছি। ওদের সেটা মেনে নিতে সময় লেগেছিল।”
রোনাল্ডো মনে করেন এই ঘটনা তাঁদের পরিবারকে অনেক বেশি একাত্ম করে দিয়েছে। রোনাল্ডো বাবা হিসাবে আরও পরিণত হয়ে উঠেছেন। রোনাল্ডো বলেন, “আমি আরও বেশি পরিণত বাবা হয়েছি। সন্তানদের সঙ্গে আরও বন্ধুর মতো মিশেছি। জর্জিনিয়ার অনেক বেশি কাছে চলে এসেছি। আমার জীবনকে দেখার ধরনটা পাল্টে গিয়েছে। জর্জিনিয়ার প্রতি আমার ভালবাসা বেড়েছে। সন্তানরা আরও বন্ধু হয়ে গিয়েছে। ওই ঘটনা আমাদের জীবন পাল্টে দিয়েছে।”