কাতারে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ভারতীয়রা। এ ভাবেই নাকি নকল সমর্থকদের কাজে লাগাচ্ছে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ। ছবি: রয়টার্স
ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই বিতর্কে জড়িয়েছে আয়োজক দেশ কাতার। তাদের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে সমর্থক ভাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে একের পর এক দেশ কাতারে পা দিয়ে দেখছে, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে হোটেলের বাইরে তাদের অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত হাজার হাজার সমর্থক। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই টাকা নিয়ে সমর্থন দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশের সমর্থকদের ভিডিয়ো বাইরে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ড, স্পেনের মতো দেশের জার্সি পরে কাতারের রাস্তায় নেমে পড়েছেন সমর্থকরা। তাঁরা ড্রাম বাজাচ্ছেন। গানের তালে নাচছেন। সব মিলিয়ে উৎসবের পরিবেশ। কিন্তু এই সমর্থকদের একটা বড় অংশ নকল বলে অভিযোগ। টাকা দিলে যে কোনও দেশের জন্য নাকি গলা ফাটাচ্ছেন তাঁরা।
সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন এই সমর্থকদের মধ্যে কয়েক জন। তাঁরা জানিয়েছেন, আয়োজকরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। চুক্তি অনুযায়ী টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন দেশের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট দেশের সমর্থকদের বিশ্বকাপের আমেজের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই সমর্থকদের একটা বড় অংশ ভারতীয়। কর্মসূত্রে তাঁরা কাতারে থাকেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। এই ভারতীয়দের ব্যবহার করা হচ্ছে নকল সমর্থক হিসাবে। ফলে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার জার্সিতে হাজার হাজার ভারতীয়কে দেখা যাচ্ছে সেখানে।
সম্প্রতি ইংল্যান্ড ফুটবল দল কাতারে পা দেওয়ার পরে একই ছবি দেখা গিয়েছে। হ্যারি কেনদের দলকে স্বাগত জানাতে ঢোল-করতাল নিয়ে উপস্থিতি ছিলেন ভারতীয়রা। সঙ্গে ছিল ব্যানার। সেখানে লেখা, ‘এ বার বিশ্বকাপ নিজেদের ঘরে আসবে।’ এই সমর্থকদের একটা বড় অংশ নকল বলে অভিযোগ উঠেছে।
যদিও ইংল্যান্ডকে সমর্থনের জন্য উপস্থিত ভারতীয়দের মধ্যে অনেকে দাবি করেছেন, তাঁরা সত্যি সত্যিই ইংল্যান্ডের সমর্থক। টাকা নিয়ে সমর্থন দেখাতে যাননি। একই কথা শোনা গিয়েছে বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির কাছে। তাদের দাবি, যাঁরা সমর্থন দেখাচ্ছেন, তাঁরা সত্যিকারের সমর্থক। টাকা দিয়ে কাউকে নকল সমর্থন করতে বলা হয়নি। কাতার অভিযোগ মানতে না চাইলেও বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে বিতর্ক বেড়েই চলেছে।