২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কোচ ছিলেন মারাদোনা। সেই সময় তাঁর কোচিংয়ে খেলেছিলেন মেসি। —ফাইল চিত্র
এ বারই শেষ ফুটবল বিশ্বকাপে নামছেন লিয়োনেল মেসি। বিশ্বকাপ জিতে তিনি তাঁর বিদায় স্মরণীয় করে রাখতে চাইছেন। সেই সঙ্গে মেসির সামনে রয়েছে দিয়েগো মারাদোনার নজির ভাঙার সুযোগ। কাতার বিশ্বকাপে পূর্বসূরির তিনটি নজির ভাঙার সুযোগ রয়েছে মেসির কাছে।
এখনও পর্যন্ত ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনীয় হিসাবে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মারাদোনা। চারটি বিশ্বকাপ মিলিয়ে মোট ২১টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। অন্য দিকে মেসি চারটি বিশ্বকাপে খেলেছেন ১৯টি ম্যাচ। অর্থাৎ এই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচে খেললেই মারাদোনার এই নজির ভেঙে ফেলবেন মেসি।
বিশ্বকাপে মারাদোনার গোলের সংখ্যাকেও টপকে যেতে পারেনি মেসি। বিশ্বকাপে ২১টি ম্যাচ খেলে ৮টি গোল করেছেন মারাদোনা। তার মধ্যে ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে ২টি গোল করেছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে করেছিলেন ৫ গোল। সে বার মারাদোনার নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে একটিও গোল দিতে পারেননি দিয়েগো। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে ২ ম্যাচ খেলে ১টি গোল করেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের মাঝেই ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে আর খেলতে পারেননি মারাদোনা।
অন্য দিকে মেসি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ৬টি গোল করেছেন। তার মধ্যে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচ খেলে ১টি গোল করেছেন তিনি। ২০১০ সালে ৫ ম্যাচ খেলে একটিও গোল করতে পারেননি মেসি। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ৪টি গোল করেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ৪ ম্যাচে ১টি গোল করেছেন মেসি। অর্থাৎ, এ বারের বিশ্বকাপে ৩টি গোল করলেই মারাদোনাকে টপকে যাবেন মেসি। হবেন বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি গোল করা আর্জেন্তিনীয়।
বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনীয় ফুটবলারদের মধ্যে গোলের ক্ষেত্রে অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছেন মারাদোনা। ৮টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। তার মধ্যে ৫টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে। মেসি এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন। অর্থাৎ, এ বারের বিশ্বকাপে চারটি অ্যাসিস্ট করলেই মারাদোনাকে টপকে যাবেন মেসি।