Kylian Mbappe

বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেও ছুটি নেই এমবাপের, ৭২ ঘণ্টা পরেই হাজির ক্লাবের অনুশীলনে

দেশে ফেরার পরের দিনই এমবাপে যোগ দিলেন ক্লাব প্যারিস সঁ জরমঁ-য়। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন ক্লাবের হয়ে নামতে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৪৬
Share:

পিএসজি-র অনুশীলনে ফিরলেন এমবাপে। ফাইল ছবি

গত বারের পরে এ বারও বিশ্বকাপ জেতার হাতছানি ছিল। কিন্তু টানা দু’বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। আর্জেন্টিনার কাছে ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে। বিশ্বকাপে খেলার ধকল সত্ত্বেও প্রতিযোগিতা শেষে ছুটি নিতে রাজি হলেন না কিলিয়ান এমবাপে। দেশে ফেরার পরের দিনই যোগ দিলেন ক্লাব প্যারিস সঁ জরমঁ-য়। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন ক্লাবের হয়ে নামতে।

Advertisement

মঙ্গলবার ভোররাতে দোহা থেকে প্যারিসে ফেরে ফ্রান্স দল। ট্রফি না জিতলেও এমবাপেদের নিয়ে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা ছিল দেখার মতো। পরের দিনই, অর্থাৎ বুধবার সকালে পিএসজি ক্যাম্পাসে হাজির হয়ে যান তিনি। ক্লাব কর্তৃপক্ষ রাজি ছিলেন তাঁকে কয়েক দিনের ছুটি দিতে। এমবাপে নিজেই নাকি রাজি হননি। ফলে ২৮ ডিসেম্বর রাতে স্ত্রাসবুর্গের বিরুদ্ধে তাঁকে নামতে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

বিশ্বকাপ জিতলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এখনও জেতেনি পিএসজি। এক বার হারতে হয়েছে ফাইনালে। সেই ট্রফি জেতার জন্য মরিয়া এমবাপে। তবে এ বার শেষ ষোলোয় তাদের খেলতে হবে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে, যা নিঃসন্দেহে কঠিন লড়াই। ঘরোয়া খেতাব হয়তো পিএসজি-র দখলেই যাবে। এ বারের লিগে ১৩টি ম্যাচ জিতেছে। ড্র ২টি ম্যাচে। একটিতেও হারেনি। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী লেন্সের থেকে তারা ৫ পয়েন্ট এগিয়ে।

Advertisement

বুধবারই প্রকাশ্যে এসেছে ফাইনাল ম্যাচের বিরতিতে সাজঘরে দেওয়া এমবাপের ভাষণ। ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েননি এমবাপে। বরং দ্বিতীয়ার্ধে আরও শক্তিশালী ভাবে ফিরে আসার কথা ভেবেই মাঠ ছাড়েন তিনি। সাজঘরে ফিরে সতীর্থদের তরুণ স্ট্রাইকার বলেন, ‘‘এটা বিশ্বকাপ ফাইনাল। এটা সারা জীবনের ম্যাচ। যাই হোক, আমরা আর খারাপ খেলতে পারি না। হয় আমরা ওদেরই খেলতে দিই, নয়তো আমরা খেলি। আমরা আর একটু আগ্রাসী ভাবে খেলি। চলো, আমরা লড়াই করি। বন্ধু, কিছু করার চেষ্টা করি আমরা। এটা বিশ্বকাপের ফাইনাল। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ওরা ২টো গোল করেছে। আমরা ২ গোলে পিছিয়ে রয়েছি। এখনও আমরা ম্যাচে ফিরে আসতে পারি। চলো বন্ধুরা, কিছু একটা করি। এমন সুযোগ চার বছরে এক বারই আসে।’’

এমবাপের বক্তব্যের জন্যই ফ্রান্সকে দ্বিতীয়ার্ধে অন্য চেহারায় দেখা গিয়েছিল কি না তা নিয়ে তর্ক হতে পারে। তরুণ স্ট্রাইকার সতীর্থদের উদ্দীপ্ত করে পাল্টা লড়াই করার বার্তা দিয়েছিলেন। ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধে তার সুফলও পেয়েছিল ফ্রান্স। ০-২ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে নির্ধারিত সময় ২-২ করে গত বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। পরে অতিরিক্ত সময় লিয়োনেল মেসি আর্জেন্টিনাকে আবার এগিয়ে দেওয়ার পরেও এমবাপে গোল করে সমতা ফেরান। দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও দেশকে পর পর ২ বার বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি তিনি। টাইব্রেকারে ২-৪ গোলে হেরে যান তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement