শরীরচর্চার ঘামে ভেজা জামা কি পরের দিনও পরা যায়? ছবি:ফ্রিপিক।
দৌড়ে বা জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করে ফেরার পরে ঘর্মাক্ত পোশাকটি কি সরাসরি কাচার জন্য বার করে দেন? না কি খোলা হাওয়ায় মেলে দেন? ঘাম শুকানো জামা কি পরের দিনও পরা চলে?
ঘন ঘন জামা-কাপড় কাচলে যেমন তার মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তেমনই জল, সাবান এবং ওয়াশিং মেশিনের জন্য বিদ্যুৎ খরচও হয়। বিষয়ট নিয়ে চট করে কেউ না ভাবলেও, পরিবেশেও কিন্তু তার প্রভাব পড়ে। আবার ঘামে ভেজা জামা জীবাণু, ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুড়ঘর। ফলে কোনটা করা উচিত?
এক সময় সুতির পোশাক পরারই চল ছিল। কিন্তু এখন শরীরচর্চার জন্য এমন অনেক পোশাক পাওয়া যায়, যা দ্রুত ঘাম শোষণে, দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। কৃত্রিম তন্তু দ্বারা সে সব তৈরি হয়। অন্তর্বাসেও এখন পলিয়েস্টার-সহ বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, সিন্থেটিক বা কৃত্রিম এবং ঘর্মাক্ত পোশাকে জীবাণু দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
শরীরচর্চার পরেই কি তবে পোশাক কাচা উচিত?
তা নির্ভর করবে পোশাকের ধরন, মরসুম এবং শরীরচর্চার উপর। শীতের সময় কেউ সকালে হাঁটাহাটি করে এলেন, সেই জামা সঙ্গে সঙ্গেই ধুয়ে ফেলতে হবে, এমনও নয়। বরং খোলা হাওয়ায় বা রোদে মেলে দিলে, সূর্যরশ্মির প্রভাবে জীবাণু মরে যেতে পারে। আবার যদি কেউ শীতেই ওজন তুলে বা কঠোর পরিশ্রমের শরীরচর্চা করে ঘাম ঝরান তা হলে, পোশাক ভিজে যেতে পারে। বিশেষত অন্তর্বাস। শরীরচর্চার পরে সেই পোশাক নিয়মিত কাচতে হবে কি না, কিছুটা নির্ভর করে যিনি ব্যবহার করছেন, তাঁর উপর। কারও ঘাম এমনিতে কম হয়। পোশাক যদি ঘামে ভিজে না যায়, তা হলে তা আরও এক দিন ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার কারও ঘামে দুর্গন্ধ হয়। সে ক্ষেত্রে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ বেশি হতে পারে। তখন পোশাক দ্রুত কেচে ফেলতে হবে।
পোশাক নিয়ে সতর্কতা
তবে শরীরচর্চার পরে সেই পোশাক খুলে কোনও ব্যাগে রাখা যাবে না। বদ্ধ জায়গায় তা রাখলেও জীবাণু বেড়ে যেতে পারে। ফলে খোলা জায়গায় বা রোদে তা মেলে দিতে হবে।