মেসির এই ছবি কি স্থান পাবে আর্জেন্টিনার নোটে? ফাইল ছবি
দীর্ঘ ৩৬ বছর পর ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। সেই জয় স্মরণীয় করে রাখতে অভিনব সিদ্ধান্ত নিতে পারে আর্জেন্টিনার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক। আর্জেন্টিনার টাকার নোটে ছাপানো হতে পারে লিয়োনেল মেসির বিশ্বজয়ের ছবি। এক হাজার পেসোর নোটে মেসির ছবি থাকতে পারে।
আর্জেন্টিনার সংবাদপত্র ‘এল ফিনান্সিয়েরো’ এই দাবি করেছে। তারা লিখেছে, অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিকরা ‘মজা’ করেই এমন একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে এই প্রস্তাব সত্যি হলেও আশ্চর্যের কিছু নেই। বিশ্বকাপ জয় নিয়ে আর্জেন্টিনায় উন্মাদনা অন্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। সরকারি কর্মীরাও তার থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারছেন না। বিশ্বকাপ জেতার আগেই নাকি এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর লিসান্দ্রো ক্লেরি বলেছেন, “ব্যাঙ্কের বোর্ডের সদস্যরা মজা করেই এই প্রস্তাব দিয়েছি। জানি না তা সত্যি হবে কিনা। তবে বাস্তবায়িত হলে আর্জেন্টিনার বাসিন্দারা আরও উদ্বুদ্ধ হবেন।” প্রসঙ্গত, ক্লেরি নিজে বুয়েনোস আইরেসের ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের অন্ধ ভক্ত। সংস্থার আর এক কর্তা এদুয়ার্দো হেকার সমর্থন করেন ইন্দিপেনদিয়েন্তেকে।
এল ফিনান্সিয়েরোর দাবি, অতীতে এ রকম ঘটনা স্মরণীয় করে রাখতে কয়েন ছাড়া হয়েছিল বাজারে। ১৯৭৮ বিশ্বকাপের সময় বিশেষ কয়েন বের করা হয়েছিল। রাজনীতিবিদ এভা পেরনের মৃত্যুর ৫০ বছর উপলক্ষেও একটি কয়েন প্রকাশ করা হয়। সংবাদপত্রটির দাবি, হাজার পেসোর নোটে সামনের দিকে মেসির ছবি থাকবে। পিছন দিকে লেখা থাকবে ‘লা স্কালোনেতা’, যা কোচ লিয়োনেল স্কালোনির ডাকনাম।
এ দিকে, বিশ্বকাপ জয়ের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন দুই সমর্থক। রাজধানী বুয়েনোস আইরেসের থেকে ৪০০ মাইল দূরে বাহিয়া ব্লাঙ্কার লা ফালদা এলাকায় থাকতেন এক সমর্থক সেবাস্তিয়ান। আর্জেন্টিনার জয়ের দৃশ্য টিভিতে দেখার পরেই নিজের বাইক নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি। গলায় জড়ানো ছিল আর্জেন্টিনার পতাকা। গলায় থাকা অবস্থাতেই সেই পতাকা এক সময় বাইকের চাকার সঙ্গে জড়িয়ে যায়। রাস্তায় ছিটকে পড়েন সেবাস্তিয়ান। তাঁকে উদ্ধার করতে ছুটে আসে পুলিশ। দেখা যায়, বাইকটি রাস্তার এক ধারে পড়ে রয়েছে। গলায় পতাকা প্যাঁচানো অবস্থায় রাস্তার ধারে পড়েছিলেন সেবাস্তিয়ান। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
সে দিনই বুয়েনোস আইরেসে আর এক সমর্থকের মৃত্যু হয় ছাদ থেকে পড়ে। বিশ্বকাপ জেতার পর ছাদে বাকি বন্ধুদের সঙ্গে নাচগান করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। খেয়াল করেননি কখন ধারে চলে গিয়েছেন। সেখান থেকে নীচে সেই বাড়ির কার পার্কিংয়ের জায়গায় পড়েন তিনি। পরের দিন সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে ফার্নান্দেস হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।