আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপের পুতুল নিয়ে ঘুরেছিলেন। —ফাইল চিত্র
এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে। কিন্তু বিতর্ক এখনও থামছে না। ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনা কথার লড়াই শুরু হয়েছে। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপের পুতুল নিয়ে ঘুরেছিলেন। এ বার মার্তিনেসকে ফুটবলের কুপুত্র বললেন ফ্রান্সের আদিল রামি। তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করলেন অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া।
২০১৮ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিলেন রামি। তিনি মার্তিনেসের আচরণ ভাল ভাবে নেননি। রামি বলেন, “ফুটবলের সব থেকে খারাপ পুত্র মার্তিনেস। কেউ পছন্দ করে না ওকে।” ছেড়ে দেয়নি আর্জেন্টিনাও। দি মারিয়া বলেন, “মার্তিনেস বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক। এখানে কান্নাকাটি করে লাভ নেই।” ছেড়ে দেননি রামি। তিনি একটি টুইট করেন। সেখানে দি মারিয়ার কান্নার বিভিন্ন ছবি দিয়ে রামি লেখেন, “আমাকে শেখাতে পারবে?”
বিশ্বকাপ জেতার পর থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন মার্তিনেস। কখনও পুরস্কার মঞ্চ থেকে ‘অশ্লীল’ অঙ্গভঙ্গি করেছেন, কখনও সাজঘরে এমবাপের জন্য নীরবতা পালন করেছেন, কখনও আবার আর্জেন্টিনায় বাসের উপর এমবাপের পুতুল নিয়ে ঘুরেছেন। ফ্রান্সের পক্ষ থেকে সেই আচরণ ভাল ভাবে নেওয়া হয়নি। ফ্রান্সের ফুটবল সংস্থার পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয় আর্জেন্টিনাকে। এ বার ফুটবলাররাও মুখ খুললেন মার্তিনেসের বিপক্ষে।
এমবাপে যদিও মার্তিনেস সম্পর্কে কোনও কথা বলেননি। মার্তিনেস তাঁর আচরণ সম্পর্কে বলেন, “ফরাসি ফুটবলাররা আমাকে কটূক্তি করছিল। সেই কারণেই ওদের জবাব দিয়েছিলাম। আমি ভাবমূর্তি নিয়ে ভাবি না।” শুধু ফাইনালের আচরণ নয়, নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও মার্তিনেস কটূক্তি করেছিলেন ডাচদের কোচকে। সেই প্রসঙ্গে মার্তিনেস বলেন, “ম্যাচের আগে খুব কথা বলছিল ওরা। ফুটবল আমাকে শিখিয়েছে যে, মাঠেই উত্তর দিতে হয়। নেদারল্যান্ডসের কোচ ম্যাচের আগে আমাদের অধিনায়ক লিয়োনেল মেসিকে অনেক কিছু বলেছিল। ফান হ্যাল বলেছিল টাইব্রেকার খেলা গেলে ওরা জিতবেই। যদিও মাঠে ফল অন্য হয়েছিল।”