বিদায়ী নির্বাচক কমিটির প্রধান চেতন শর্মা আবারও আবেদন করেছেন নির্বাচক হওয়ার জন্য। —ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ব্যর্থতার পর প্রথমেই জাতীয় নির্বাচকদের বাতিল করা হয়। নতুন নির্বাচক কমিটি তৈরি করা হবে বলে জানায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়। কিন্তু এখন আবার পুরনো নির্বাচকদের কয়েক জনকেই রেখে দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত। এমনই অদ্ভূত ঘটনা ঘটতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেটে।
ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির তিন সদস্য অশোক মলহোত্র, সুলক্ষণা নায়েক এবং যতীন পরাঞ্জপে বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে বৈঠকে বসতে পারেন। নির্বাচক হওয়ার জন্য যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে বাছাই করে কয়েক জনের সাক্ষাৎকার নেবেন তাঁরা। নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মাও আবেদন করেছেন। তাঁর সাক্ষাৎকারও নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এমন ঘটনা অবাক করছে ভারতের দুই প্রাক্তন নির্বাচক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেবাঙ্গ গান্ধীকে। সম্বরণ আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত। তিন মাস আগে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল। তার পর আবার তাঁকেই চাকরি দেওয়ার জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। এমন হয় নাকি!” একই সুর দেবাঙ্গের গলাতেও। তিনি বললেন, “এটা সত্যিই অদ্ভুত। তবে কারও যদি মনে হয় তিনি আবার আবেদন করবেন সেটা করতেই পারেন। নেওয়া হবে কি না সেটা উপদেষ্টা কমিটি ঠিক করবে।”
বিদায়ী নির্বাচক কমিটির প্রধান ছিলেন চেতন। সেই নির্বাচক কমিটিকে বাতিল করা হলেও পরের কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত কাজ করতে বলা হয়। তাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেটে সাদা বলের প্রতিযোগিতার ম্যাচ দেখেছেন। রঞ্জি দেখছেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি এবং এক দিনের সিরিজ়ের দল বেছে নিয়েছেন তাঁরা। বোর্ডের এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “চেতনকে নির্বাচক কমিটিতে রাখা হতে পারে। প্রধান না করা হলেও উত্তরাঞ্চলের প্রতিনিধি হিসাবে রাখা হতে পারে তাঁকে। তবে নতুন প্রধান যিনি হবেন তাঁর নেতৃত্বে চেতন কাজ করতে রাজি থাকবেন কিনা জানি না। সত্যি বলতে বোর্ড কোনও ভাল নাম পায়নি নির্বাচক করার মতো। আর চেতনের যদি সুযোগ না থাকে তা হলে ও আবেদন কেন করবে? কিছু নিশ্চয়ই বলা হয়েছে ওকে।”
নির্বাচক হওয়ার জন্য বোর্ডের কাছে প্রচুর নাম জমা পড়লেও যোগ্য নাম পাচ্ছে না বোর্ড। ৬০ জনের বেশি আবেদন জমা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন চেতন এবং হরবিন্দর সিংহও। তাঁদের সঙ্গে নির্বাচকের দলে ছিলেন সুনীল যোশী, যিনি পাঁচ বছর নির্বাচকের পদে ছিলেন। তাঁর পক্ষে এখন আর নির্বাচক হওয়া সম্ভব নয়। দেবাশিস মোহান্তিও আর আবেদন করেননি। কিন্তু বোর্ড তাঁদের রাখবে না জানিয়ে দেওয়ার পরেও চেতন এবং হরবিন্দরের আবেদন অবাক করে দিয়েছিল অনেককেই।