প্যারিস পৌঁছে সতীর্থদের সঙ্গে বিমান থেকে নামছেন বিধ্বস্ত এমবাপে। ছবি: টুইটার।
পর পর দু’বার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছে। তবু দেশে ফিরে নায়কের মর্যাদা পেলেন কিলিয়ান এমবাপে, হুগো লরিস, অ্যান্টনি গ্রিজ়ম্যানরা। সোমবার রাতে লক্ষ মানুষ বরণ করে নিলেন বিশ্বকাপ রানার্সদের।
বিশেষ বিমানে প্যারিসে ফিরেছেন ফ্রান্সের ফুটবলাররা। লিয়োনেল মেসিরা বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফেরার আগে প্যারিস পৌঁছে গিয়েছেন এমবাপেরা। ফাইনালে হারলেও ফ্রান্সের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে তাঁরা নায়কের সম্মান পাচ্ছেন। অধিকাংশ ফুটবলারের মুখে হাসি থাকলেও এমবাপে-সহ কয়েক জনের মুখ ছিল শুকনো। সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে হাত নাড়লেও মুখে হাসি ছিল না এমবাপের। দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছেন। গোল করেছেন টাইব্রেকারেও। তবু দলকে জেতাতে পারেননি ‘গোল্ডেন বুট’ জয়ী ২৪ বছরের স্ট্রাইকার। মঙ্গলবারই ২৪ বছর পূর্ণ করলেন এমবাপে। বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরতে পারলে জন্মদিনটা আরও ভাল ভাবে উপভোগ করতে পারতেন নিশ্চিত।
দলের অধিকাংশ ফুটবলারকে অবশ্য স্বাভাবিকই দেখিয়েছে। ফুটবলারদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন কয়েক হাজার সমর্থক। অনেকের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। প্রিয় ফুটবলারদের জার্সি পরেও গিয়েছিলেন অনেকে। বিমান থেকে নামার সময়ই এমবাপের মুখ ছিল থমথমে। পরেও তাঁর মুখে হাসি দেখা যায়নি। বিমান থেকে প্রথম নামেন অধিনায়ক লরিস এবং কোচ দিদিয়ের দেশঁ। তাঁদের পর একে একে নামেন ফুটবলার এবং অন্যরা।
বিমানবন্দর থেকে গোটা দলকে নিয়ে যাওয়া হয় প্যারিসের বিখ্যাত প্লেস দে লা কনকর্ডের কাছে একটি হোটেলে। সেখানে ভিড় করেছিলেন লক্ষাধিক সমর্থক। সমানে চিৎকার করে তাঁরা সমর্থন জানাচ্ছিলেন। ফুটবলারদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছিলেন। ফুটবলাররা হোটেলের বারান্দায় এসে সমর্থকদের দিকে হাত নাড়েন। জনতার উৎসাহে কয়েক জন ফুটবলারকে হাসতে দেখা গেলেও এমবাপেকে বিধ্বস্তই দেখিয়েছে। ফাইনালের হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। ফাইনালের পর মাঠে এমবাপেকে সান্ত্বনা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। পরে সাজঘরে গিয়েও ফুটবলারদের উৎসাহিত করেন তিনি।
১৯৯৮ এবং ২০১৮ দু’বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্রান্স। এ বার ছাড়াও ২০০৬ সালে রানার্স হয়েছে তারা। কাতারে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় দেশ হিসাবে পর পর দু’বার বিশ্বকাপ জেতার কৃতিত্ব অর্জন করতেন এমবাপেরা। ফ্রান্সের মানুষ ধরেই নিয়েছিলেন কাপ নিয়েই দেশে ফিরবেন তাঁরা। দলের ক্রীড়া সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থা আগেই ফ্রান্সের জার্সিতে ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফেডারেশনের প্রতীকের উপর তিনটি তারা বসিয়ে বিক্রি করতে শুরু করে। যা নিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালের দু’দিন আগে তৈরি হয় বিতর্ক।