সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হেরে যায় আর্জেন্টিনা। ছবি: রয়টার্স
সৌদি আরবের বিরুদ্ধে তখন খেলা শুরু হতে কয়েক ঘণ্টা বাকি। প্রথম ম্যাচ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন লিয়োনেল মেসিরা। সেই সময় আর্জেন্টিনার ক্যাম্পে দেখা করতে আসেন সের্খিয়ো আগুয়েরো। গত বছর যিনি অবসর নিতে বাধ্য হন হৃদযন্ত্রে সমস্যা থাকার জন্য। কিন্তু ঢুকতেই দেওয়া হয়নি মারাদোনার প্রাক্তন জামাইকে।
মেসিদের দলে এক সময় অন্যতম স্ট্রাইকার ছিলেন আগুয়েরো। কিন্তু তাঁকে প্রাক্তন সতীর্থদের সঙ্গে দেখাই করতে দিলেন না আর্জেন্টিনার ফুটবল আধিকারিকরা। ক্যাম্পে ঢুকতেই দেওয়া হল না আগুয়েরোকে। তিনি আর্জেন্টিনার কর্তাদের উদ্দেশে টুইট করে লেখেন, “আমাকে ঢুকতে দিতে না চাইলে সেটা মুখের উপর বলা উচিত। সব সময় আর্জেন্টিনার সমর্থনে গলা ফাটিয়েছি। আমি জানি যে প্রিয় জার্সির জন্য সব কিছু উজাড় করে দেবে ওরা। মেসি যেমন বলেছে, আমরা সকলে একসঙ্গে থাকব।” শেষ বাক্যে যে আগুয়েরো কিছুটা খোঁচা দিয়েছেন তা বলাই যায়।
আগুয়েরোর অভিযোগ, তাঁকে আটকানো হলেও অনেকেই এসে মেসিদের সঙ্গে দেখা করেছেন। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফুটবলার। দেশের জার্সিতে ১০১টি ম্যাচে ৪১টি গোল করেছেন আগুয়েরো। গত বারের বিশ্বকাপেও খেলেছেন তিনি। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে গোলও করেন আগুয়েরো। তাঁকেই ঢুকতে দেওয়া হল না মেসিদের সঙ্গে দেখা করতে।
দীর্ঘ সময় স্পেনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে খেলেছেন আগুয়েরো। বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন। স্পেনের দলের অনেকেই এক সময় তাঁর সতীর্থ ছিলেন। সেই স্পেন দল আগুয়েরোকে তাদের ক্যাম্পে আমন্ত্রন জানিয়েছে। আগুয়েরো বলেন, “নিজের দলের সঙ্গে আমার এখনও দেখা হয়নি। আমাকে দলের তরফে কোনও পরিচয়পত্র দেওয়া হয়নি। অথচ আমি জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিলাম। অপরিচিত কেউ নই। আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার সঙ্গেও পরিচিত। আমি কোনও খারাপ কাজ করিনি। অনেকের হয়তো আমাকে পছন্দ নয়, কারণ আমি তাদের দোষ ধরি। আমাকে যদি ওরা ঢুকতে দিতে না চায়, তা হলে সেটা স্পষ্ট আমার মুখের উপর বলুক। স্পেন আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমাকে ডাকার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমি ওদের সঙ্গে দেখা করতে যাব না। পরে কখনও যেতে পারি। কিন্তু আমি আমার দলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম।”