ইংল্যান্ড-ওয়েলস ম্যাচের আগে দু’দেশের সমর্থকদের কড়া হুঁশিয়ারি কাতার প্রশাসনের। ছবি: টুইটার।
ইংল্যান্ড-ওয়েলস ম্যাচের আগে দু’দেশের সমর্থকদের সতর্ক করে দিল কাতার প্রশাসন। স্টেডিয়ামের বাইরে গান গাইলে বা প্ররোচনামূলক পোশাক পরলে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য অশান্তি ঠেকাতে এই নির্দেশ জারি করেছে কাতার প্রশাসন।
বিশ্বকাপে গ্রুপের ম্যাচে মঙ্গলবার গ্যারেথ বেলদের মুখোমুখি হবেন হ্যারি কেনরা। ব্রিটেনের দুই দেশের ম্যাচ ঘিরে তুঙ্গে উত্তেজনার পারদ। এই ম্যাচকে ‘বিশ্বকাপের ডার্বি’ বলছেন ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ। এমনিতেই গুন্ডামির জন্য কুখ্যাত ইংল্যান্ডের ফুটবল সমর্থকদের একাংশ। কম যান না ওয়েলসের ফুটবল সমর্থকদের একাংশও। এর মধ্যেই লন্ডন-সহ একাধিক জায়গায় দু’দলের সমর্থকরা বচসা, হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন। বিশ্বকাপের আসরে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে সতর্ক কাতার প্রশাসন। আগাম ব্যবস্থা হিসাবেই দু’দলের সমর্থকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই নির্দেশের মূল লক্ষ্য ইংল্যান্ডের সমর্থকরা।
গ্যালারিতে গান গাওয়া নিয়ে আপত্তি নেই বিশ্বকাপ আয়োজকদের। তবে ম্যাচের আগে বা পরে স্টেডিয়ামের বাইরে গান গাওয়া যাবে না। পরা যাবে না কোনও প্ররোচনামূলক পোশাক। নির্দেশ অমান্য করলেই সাজা হবে জেল। খেলা শুরুর আগে এবং পরে যে সব জায়গায় মূলত সমর্থকরা একত্রিত হন, সে সব জায়গায় বাড়ানো হচ্ছে পুলিশি নজরদারি।
কাতার প্রশাসনের এমন নির্দেশিকায় অবাক হয়েছেন দু’দলের সমর্থকরা। ইংল্যান্ডের এক ফুটবলপ্রেমী বলেছেন, ‘‘প্রথমে শুনে মনে হয়েছিল বিশ্বকাপের আয়োজকরা মজা করছেন। পরে বুঝতে পারি, বিষয়টা মোটেও হাসির নয়।’’ কিছুটা বিরক্তির সুরে তিনি বলেছেন, ‘‘এখানকার পুলিশ কিছুতেই খুশি হয় না। ইংল্যান্ডের দু’টো ম্যাচ হয়েছে। কোনও খারাপ ঘটনা ঘটেনি। অথচ একটা ম্যাচ ঘিরে এমন নির্দেশ প্রতিযোগিতার পক্ষে ভাল নয়। এখানকার সব কিছুই বড্ড আরোপিত মনে হচ্ছে। কত মানুষের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের। কিছুই তো হয়নি। এখানকার সাধারণ মানুষও খুব ভাল। যা যা সমস্যা হচ্ছে, সবই পুলিশের জন্য হচ্ছে।’’
প্রথম ম্যাচে ইরানকে ৬-২ ব্যবধানে হারানোর আনন্দে দোহার শহরতলি এলাকায় উৎসব করছিলেন ইংল্যান্ডের সমর্থকরা। সেখানেও হাজির হয় দোহার পুলিশ কর্মীরা। উৎসবরত ইংল্যান্ড সমর্থকদের নির্দেশ দেওয়া হয়, চিৎকার চেঁচামেচি করা যাবে না। যা করার তা করতে হবে বেশি শব্দ না করে। এ ছাড়াও যুদ্ধের সাজে আমেরিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ দেখতে গিয়ে জেল হয়েছে ইংল্যন্ডের দুই সমর্থকের। প্রথমে তাঁদের গ্রেফতার করে দোহা পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা, প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। যা কাতারের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
নতুন নির্দেশিকায় ক্ষুব্ধ ইংল্যান্ডের এক সমর্থক বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ড-ওয়েলস ম্যাচের আগে ওরা আমাদের গ্রেফতার করতে চাইছে। ওরা কিছু না কিছু অজুহাত ঠিক বের করবে। আমরা নিশ্চিত আমাদের বেশ কয়েক জনকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হবে।’’