কাতারে আনা হাজার হাজার বিয়ারের ক্যান অন্য ভাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিল প্রস্তুতকারী সংস্থা। ছবি: টুইটার।
কাতারের রাজ পরিবারের নির্দেশে বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলোয় বিয়ার বিক্রির সুযোগ নেই। হঠাৎ এই পরিস্থিতিতে কাতার থেকে বিয়ারের হাজার হাজার ক্যান সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বকাপের বৃহত্তম স্পনসর বিয়ার প্রস্তুতকারী সংস্থা। আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করতে হচ্ছে ফিফাকেও।
বিশ্বকাপের জন্য আনা বিপুল বিয়ার অন্য ভাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংস্থার কর্তারা। যারা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হবে সেই দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কাতারে নিয়ে আসা হাজার হাজার ক্যান বিয়ার। বিশ্বজয়ী দেশের ফুটবলপ্রেমীদের উৎসবের জন্য কাতারে আনা সব বিয়ার মজুত করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। বিশ্বজয়ীদের উৎসব পালনে কোনও খামতি রাখতে চান না তাঁরা। এই সিদ্ধান্তের কথা সমাজ -মাধ্যমেও জানানো হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
অন্য দিকে, ক্ষতি সামলাতে ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য সংস্থাটি ফিফাকে চুক্তির থেকে ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড কম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি। উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ যৌথ ভাবে আয়োজন করবে আমেরিকা, মেক্সিকো এবং কানাডা। ফলে আগামী বিশ্বকাপে স্পনসরশিপ বাবদ ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার আয় কমবে।
দোহার সিটি সেন্টারে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য যে ফ্যান জ়োন করা হয়েছে, সেখানে বিয়ার বিক্রি করায় ছাড় দিয়েছে কাতার প্রশাসন। সেখানে অবশ্য বেশ চড়া দামেই বিয়ার কিনতে হবে আগ্রহীদের। ৫০০ মিলিলিটার বিয়ারের জন্য খরচ করতে হবে ১২ পাউন্ড। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১৬৩ টাকা। ব্রিটেনের তিনটি কারখানা থেকে সমুদ্রপথে প্রায় আট হাজার মাইল অতিক্রম করে বিয়ারের হাজার হাজার ক্যান আনা হয়েছিল কাতারে। প্রায় সব বিয়ারই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিযোগিতা শুরুর মাত্র দু’দিন আগে রাজার ভাই শেখ জাসিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল-থানি বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলিতে বিয়ার বিক্রি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। তিনি কাতার ফুটবল সংস্থার সভাপতিও। রাজপরিবারকে রাজি করানো সম্ভব নয় বুঝে ফিফা কর্তারা সংশ্লিষ্ট বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। যদিও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি।
নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে কাতারে আনা সব বিয়ার। ছবি: টুইটার।
আগেও কাতারের রাজপরিবারের তরফে বিয়ার নিয়ে আপত্তি করা হলেও সরাসরি বিক্রি বন্ধের দাবি জানানো হয়নি। মনে করা হচ্ছে, কাতারের রাজা বা আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির নির্দেশেই সরাসরি বিয়ার বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দেন জাসিম।