গোলের পরে উচ্ছ্বাস ব্রাজিলের ফুটবলারদের। ছবি: রয়টার্স
অবশেষে গোল করল ব্রাজিল। বাঁ প্রান্ত ধরে ভিনিসিয়াস-রদ্রিগো যুগলবন্দিতে বক্সের মধ্যে বল পান কাসেমিরো। ডান পায়ে জোরালো শট মারেন তিনি। সুইৎজারল্যান্ডের ডিফেন্ডারের শরীরে লেগে সেই বল জালে জড়িয়ে যায়। কিছু করার ছিল না সোমারের।
গোল করার জন্য মরিয়া ব্রাজিল। অ্যান্টনি ও গ্যাব্রিয়েল জেসাসকে নামিয়ে আক্রমণের গতি আরও বাড়ানোর চেষ্টা করেন তিতে। আক্রমণ হচ্ছে। কিন্তু মরিয়া সুইৎজারল্যান্ডের রক্ষণও। কোনও ভাবেই তাতে ফাটল ধরানো যাচ্ছে না।
সুইৎজারল্যান্ডের জালে বল জড়িয়ে দেন ভিনিসিয়াস। প্রথমে রেফারি গোল দিলেও পরে ভার প্রযুক্তির সাহায্যে বাতিল হয় সেই গোল। আক্রমণ তৈরি করার সময় অফসাইডে ছিলেন রিচার্লিসন। সেই কারণে গোল বাতিল হল। ভিনিসিয়াস অফসাইডে না থাকলেও সতীর্থের ভুলের খেসারত দিতে হল তাঁকে।
প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছে সুইৎজারল্যান্ড। ব্রাজিলের বক্সের কাছে মাঝেমধ্যেই পৌঁছে যাচ্ছে তারা। চাপ কিছুটা বেড়ে যায় অ্যালিসন বেকারের উপর। কিন্তু সব আক্রমণ আটকে যায়। গোল পায়নি সুইৎজারল্যান্ড।
আবার সুযোগ নষ্ট করল ব্রাজিল। এ বার দোষী রিচার্লিসন। বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢোকেন ভিনিসিয়াস। ডান পায়ের আউট স্টেপে বল রাখেন তিনি। রিচার্লিসন পা ঠেকাতে পারলেই গোল হত। কিন্তু পারেননি তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম আক্রমণ তুলে আনে সুইৎজারল্যান্ড। বাঁ প্রান্ত থেকে ডান প্রান্তে ভারগাসের উদ্দেশে বল বাড়ান জাকা। ভারগাস সেই বল ধরে বক্সে পাঠান। কিন্তু সুইৎজারল্যান্ডের কোনও ফুটবলার বল পাওয়ার আগেই বিপন্মুক্ত করেন ব্রাজিলের অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা।
বিরতিতে দলে বদল করেছেন ব্রাজিলের কোচ তিতে। পাকুয়েতাকে তুলে নিয়ে রদ্রিগোকে নামিয়েছেন তিনি। আক্রমণে আরও গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে ব্রাজিল। কিন্তু সজাগ রয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের রক্ষণ।
প্রথমার্ধের শেষে কর্নার থেকে সুযোগ পায় ব্রাজিল। রাফিনহার ক্রসে গোলের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গোল আসেনি। প্রথমার্ধে গোলশূন্য অবস্থায় সাজঘরে যায় দু’দল।
খেলায় ফেরার চেষ্টা করছে সুইৎজারল্যান্ড। বলের দখল রেখে প্রান্ত ধরে আক্রমণ তুলে আনার চেষ্টা করছে। মূলত ডান প্রান্ত ধরে আক্রমণ করছে তারা। কিন্তু ব্রাজিলের অর্ধে সুইস ফুটবলারের সংখ্যা কম থাকায় আক্রমণ থেকে ফসল তুলতে পারছে না তারা।
খেলা হচ্ছে মূলত সুইৎজারল্যান্ডের অর্ধেই। মাঝমাঠের দখল ব্রাজিলের পায়ে। কিন্তু সুইস রক্ষণ ভাঙতে পারছে না তারা। বক্সের বাইরে থেকে সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে শট মারেন রাফিনহা।
গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন ভিনিসিয়াস। বক্সের ডান দিক থেকে ক্রস বাড়ান রাফিনহা। বক্সে অরক্ষিত ছিলেন ভিনিসিয়াস। সামনে ছিলেন শুধু গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। পায়ে বলে সংযোগ ভাল হয়নি ভিনিসিয়াসের। বল বাঁচিয়ে দেন সোমার।
বল নিজেদের দখলে রেখে আক্রমণে উঠে আসছে ব্রাজিল। মূলত বাঁ প্রান্ত থেকেই হচ্ছে সব আক্রমণ। ভিনিসিয়াস নিজের গতি ব্যবহার করছেন। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছে আক্রমণ। ১৮ মিনিটের মাথায় পাকুয়েতার ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারেননি রিচার্লিসন। নইলে এ বারের বিশ্বকাপে নিজের ৩ নম্বর গোল করতে পারতেন তিনি।
রক্ষণ মজবুত করে রেখেছে সুইৎজারল্যান্ড। ফলে আক্রমণ করলেও তা কাজে লাগাতে পারছে না ব্রাজিল। অন্য দিকে প্রতি-আক্রমণে খেলার পরিকল্পনা করে নেমেছেন সুইস কোচ মুরাত ইয়াকিন।
প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ ব্রাজিলের। বাঁ প্রান্তে ভিনিসিয়াসকে ব্যবহার করে আক্রমণ তুলে আনার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু বড় বিপদ হয়নি সুইৎজারল্যান্ডের গোলে।