কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের বিরোধী উব্বেন-মোয়। ছবি: টুইটার।
বিশ্বকাপে নিজের দেশ ইংল্যান্ডকে সমর্থন করলেও একটিও খেলা দেখবেন না আর্সেনালের ফুটবলার। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংল্যান্ডের মহিলা ফুটবল দলের রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড় সার্লট উব্বেন-মোয়। কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনের তীব্র বিরোধী তিনি। বেশ ক্ষুব্ধও।
কাতারের একাধিক আইনের বিরোধী ইংল্যান্ডের মহিলা ফুটবল দলের এই সদস্য। বিশ্বকাপ আয়োজক দেশে মাঝে মধ্যেই ওঠে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মারাত্মক অভিযোগ। নারী-পুরুষের বিভেদ, সমকামিতা নিষিদ্ধ করে রাখার মতো আইনগুলির তীব্র বিরোধী তিনি। দেশ হিসাবে তাই তাঁর পছন্দের তালিকায় কাতার নেই। তাই প্রতিবাদে উব্বেন-মোয় কাতার বিশ্বকাপের কোনও খেলা না দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘খেলা না দেখার সিদ্ধান্তটা কঠিন। কিন্তু আমাদের জাতীয় দলের একটা বলিষ্ঠ মতাদর্শ রয়েছে। সেটাই আমার সিদ্ধান্তের কারণ। জানি আমার সিদ্ধান্তটা নিয়ে অনেক কথা হবে। তবু এটাই আমার সিদ্ধান্ত।’’
উব্বেন-মোয় এখন জাতীয় দলের সঙ্গে স্পেন সফরে গিয়েছেন। সেখানে জাপান এবং নরওয়ের মহিলা দলের সঙ্গেও প্রীতি ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ডের মহিলা ফুটবল দল। কাতারের রক্ষণশীলতাও পছন্দ নয় তাঁর। আর্সেনালের ফুটবলার বলেছেন, ‘‘অবশ্যই আমাদের পুরুষদের দলকে সমর্থন করব। কিন্তু খেলা দেখব না। জানি এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলা কঠিন। দিনের শেষে আমরা একটাই দল। ওরা আরও এক বার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়েছে। তবু খেলা না দেখার সিদ্ধান্তটা কঠিন।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘পরিবর্তনের জন্য খেলাধুলা অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম। আমি অনেক খেলোয়াড় দেখেছি, যাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব দৃঢ়। আমাদের পুরুষদের দলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করছি ওরা সেরা ফল করবে এ বারের বিশ্বকাপে। জানি অনেকের এটাই শেষ বিশ্বকাপ। তাদের খেলা আর হয়তো দেখার সুযোগ হবে না। আমি কাউকে কিছু করতে বাধ্য করতে পারি না। কিন্তু আমার কাছে এই সিদ্ধান্তটা গুরুত্বপূর্ণ।’’
কাতারে বিশ্বকাপ হওয়ায় খুশি নন উব্বেন-মোয়। এ ব্যাপারে তাঁকে সমর্থন করছেন জাতীয় দলের সতীর্থ অ্যালেক্স গ্রিনউড। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ কোথায় হবে সেটা আমরা ঠিক করতে পারি না। তবে নেতিবাচক বিষয়গুলোকে ইতিবাচকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে পারি। একটা দেশ বা জাতি হিসাবে আমরা যে গুলো বিশ্বাস করি সে গুলোকে গুরুত্ব দিতে পারি। নারীদের সমান অধিকারের কথা বলতে পারি। আমার মনে হয় পুরুষরাও এটাকে খোলাখুলি সমর্থন করবেন।’’ গ্রিনউডও কাতার বিশ্বকাপে নিজের দেশকে সমর্থন করলেও খেলা না দেখার কথাই ভেবেছেন।