একাই ম্যাচ জিতিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। —ফাইল চিত্র
ইউরো কাপ (২০১৬), নেশনস লিগ (২০১৯) জিতেছে পর্তুগাল। প্রতিটা বিভাগে প্রতিভাবান ফুটবলার রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বড় ম্যাচে যিনি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে জানেন। একাই ম্যাচ জিতিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। বয়স তাঁর খেলায় থাবা বসালেও সকলেই জানেন রোনাল্ডো কতটা চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারেন বাকি দলের জন্য। এ বারের বিশ্বকাপে গ্রুপ এইচ-এ রয়েছে পর্তুগাল।
সূচি
পরিকল্পনা
পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো স্যান্টস মনে করেন এই বছরই সেরা খেলাটা খেলবে তাঁর দল। কাতার বিশ্বকাপের আগে তিনি বলেন, “সেরা খেলাটা খেলা বাকি আছে, সেটা এই বছরই হবে।” ৬৭ বছরের কোচের আত্মবিশ্বাসী হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাসের কারণ শুধু রোনাল্ডো নন, এক ঝাঁক নতুন মুখ রয়েছে যাঁরা যে কোনও দলের ঘুম ছুটিয়ে দিতে পারেন। দিয়োগো কোস্তা (পোর্তো), রাফায়েল লিয়াও (এসি মিলান) এবং নুনো মেন্দেস (প্যারিস সঁ জরমঁ) যাঁদের মধ্যে অন্যতম। তাঁদের নিয়েই গড়া হবে প্রথম একাদশ। সেই সঙ্গে অবশ্যই থাকবেন রোনাল্ডো। যিনি দেশের সব থেকে বেশি গোলের মালিক সেই সঙ্গে ছেলেদের ফুটবলেও।
প্রধান ফুটবলার
এই তালিকায় সকলের উপর থাকবে রোনাল্ডোর নাম। ১৯ বছর ধরে দেশের হয়ে খেলছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার কোনও ইঙ্গিতও তিনি দেননি। ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশের হয়ে খেলতে পারেন তিনি। পাঁচ বার ফিফার সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সব থেকে বেশি গোল করেছেন রোনাল্ডো। ১৯১ ম্যাচে ১১৭টি গোল। পর্তুগাল দলের প্রধান শক্তি অবশ্যই তিনি। সেই সঙ্গে নজর রাখতে হবে রুবেন দিয়াসের দিকে। পেপে, ড্যানিলোর সঙ্গে রক্ষণভাগে পর্তুগালের বড় ভরসা হয়ে উঠতে পারেন রুবেন।
বিশ্বকাপের ইতিহাস
ফুটবল বিশ্বকাপে পর্তুগালের সব থেকে বড় সাফল্য এসেছিল ১৯৬৬ সালে। ইউসেবিয়োর পর্তুগাল পৌঁছে গিয়েছিল সেমিফাইনালে। সেখানে হেরে গেলেও তৃতীয় স্থানের ম্যাচ জিতে নেয় পর্তুগাল। তার ২০ বছর পর ফুটবল বিশ্বকাপে আবার দেখা যায় তাদের। তার পর আবার লম্বা সময় যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি পর্তুগাল। ২০০২ সালে আবার দেখা যায় তাদের বিশ্বকাপের মঞ্চে। ২০০৬ বিশ্বকাপে তারা সেমিফাইনালেও পৌঁছে গিয়েছিল। তার পর থেকে প্রতি বার বিশ্বকাপে খেলতে দেখা গিয়েছে পর্তুগালকে।
পুরো দল
গোলরক্ষক: দিয়োগো কোস্তা, রুই পাত্রিসিয়ো, হোসে সা
ডিফেন্ডার: দিয়োগো দালত, দানিলো পেরেরা, হোয়াও কানসেলো, আন্তোনিয়ো সিলভা, পেপে, রুবেন দিয়াস, নুনো মেন্দেস, রাফায়েল গুয়েরেরো
মিডফিল্ডার: উইলিয়াম কার্ভালহো, রুবেন নেভেস, ওটাভি মন্তেইরো, বার্নার্ডো সিলভা, মাথেউস নুনেস, ব্রুনো ফের্নান্দেস, হোয়াও মারিয়ো, হোয়াও পালহিনহা, ভিটিনহা
স্ট্রাইকার: ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, আন্দ্রে সিলভা, রিকার্ডো হোর্তা, হোয়াও ফেলিক্স, রাফায়েল লিয়াও, গনসালো র্যামোস
সম্ভাব্য একাদশ: (৪-২-৩-১) দিয়োগো কোস্তা (গোলরক্ষক), হোয়াও কানসেলো, পেপে, রুবেন দিয়াস, নুনো মেন্দেস, রুবেন নেভেস, হোয়াও মারিয়ো, বার্নার্ডো সিলভা, ব্রুনো ফের্নান্দেস, হোয়াও ফেলিক্স, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।