বাইসাইকেল কিক
Cristiano Ronaldo

English Premiere League: রোনাল্ডোদের ইপিএল দুঃস্বপ্ন, আক্রমণের ঝড় তুলেই ডার্বি জয় ম্যান সিটির

চোট পেয়ে রাফায়েল ভারান ছিটকে গিয়েছে। এই অবস্থায় তিন ডিফেন্ডারে খেলা তো আত্মহত্যার শামিল।

Advertisement

শ্যাম থাপা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৯:৫২
Share:

ভিন্ন: হার রোনাল্ডোর। গোল করে নায়ক বের্নার্দো। গেটি ইমেজেস।

ইপিএল

Advertisement

ম্যান ইউ ০ ম্যান সিটি ২

Advertisement

শনিবার সন্ধ্যায় টিভিতে ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বি দেখতে বসে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের গ্যালারিতে বারবার খুঁজছিলাম স্যর আলেক্স ফার্গুসনকে। ১৯৮৬ সালের ৬ নভেম্বরই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। ৩৫ বছর পূর্তির দিনে প্রিয় ক্লাবের দুরাবস্থা দেখে তাঁর অভিব্যক্তি কী, তা নিয়েই আগ্রহ ছিল আমার।

খেলা শুরু হওয়ার আগে দু’দলের প্রথম একাদশ দেখেই আমার রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে দিয়েছিল। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিওলা অসাধারণ চাল দিয়েছিলেন ৪-৩-৩ ছকে দল সাজিয়ে। ম্যান ইউ ম্যানেজার ওয়ে গুন্নার সোলসার বেছে নেন ৩-৫-২। তখনই মনে হয়েছিল, বিপর্যয় অনিবার্য।

চোট পেয়ে রাফায়েল ভারান ছিটকে গিয়েছে। এই অবস্থায় তিন ডিফেন্ডারে খেলা তো আত্মহত্যার শামিল। আমার অনুমানই ঠিক। শুরু থেকেই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরু হয় নীল ঝড়। সাত মিনিটের মধ্যেই ম্যান সিটি এগিয়ে যায়। জোয়াও কানসেলোর ক্রস পেনাল্টি বক্সের মধ্যে থেকে বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেয় এরিক বেইলি।

জর্জ বেস্ট, ববি চার্লটনের জন্য আমি বরাবরই ম্যান ইউয়ের সমর্থক। আমার প্রিয় ক্লাবের এই হাল দেখে প্রচণ্ড হতাশ। ভাবতেই পারছি না, ঘরের মাঠে ম্যান ইউ প্রথম আক্রমণে উঠেছিল ২৬ মিনিটে! বাঁ-দিক থেকে তোলা লিউক শ-র নিচু পাস রোনাল্ডো গোল লক্ষ্য করে মেরে ছিল। কিন্তু বল বাঁচিয়ে দেয় ম্যান সিটি গোলরক্ষক এদেরসন। মনে হচ্ছিল, এ বার ঘুরে দাঁড়াবে ম্যান ইউ। ভুল ভাঙতে বেশি দেরি হয়নি। ২৯ মিনিটেই গ্যাব্রিয়েল জেসুসের শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় বাঁচায় ম্যান ইউয়ের শেষ প্রহরী দাভিদ দ্য হিয়া। আবার শুরু হল নীল ঝড়। ফিল ফোডেন, বের্নার্দো সিলভা, জেসুস, কেভিন দ্য ব্রুইনরা ছেলেখেলা করল ম্যান ইউ ডিফেন্ডারদের নিয়ে।

প্রথমার্ধে একটা সময় ৭২ শতাংশ বলের দখল ছিল ম্যান সিটির! ভয় হচ্ছিল, লিভারপুলের কাছে ০-৫ হারের পুনরাবৃত্তি না দেখতে হয়। বাঁচিয়ে দিল ম্যান ইউ গোলরক্ষক। প্রথমার্ধেই অন্তত গোটা চারেক অবধারিত গোল বাঁচায় দাভিদ। যদিও বিরতির ঠিক আগে ওর ভুলেই ম্যান ইউ দ্বিতীয় গোল খায়। কানসেলো বিপক্ষের বক্সের মধ্যে পাস দিয়েছিল বের্নার্দোকে। ম্যান সিটি তারকা অসাধারণ দক্ষতায় বলে পা ছোঁয়ায়। দাভিদের বুকে লেগে প্রথম পোস্ট দিয়ে তা গোলে ঢুকে যায়। ৮১ মিনিটে ফোডেনের শট পোস্ট না লাগলে আরও লজ্জা বাড়ত।

খুব কষ্ট হচ্ছিল রোনাল্ডোকে দেখে। এডিনসন কাভানি না থাকায় ওকে একাই খেলতে হচ্ছিল। কারণ, মেসন গ্রিনউডকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার উপরে প্রথম থেকেই রোনাল্ডোর জন্য চক্রব্যূহ তৈরি করেছিলেন গুয়ার্দিওলা। সে ভাবে বলই পেল না ও। হতাশায় ৫৮ মিনিটে বের্নার্দোকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখল রোনাল্ডো। জানি না জাডন স্যাঞ্চোকে কেন খেলাচ্ছেন না সোলসার। এই হারের পরে ম্যান ইউয়ের চ্যাম্পিয়ন হওয়া যেমন কঠিন, তেমনই সোলসারের বিদায়ের সম্ভাবনাও প্রবল। ইপিএল টেবলে দু’নম্বরে উঠে এল সিটি।

চেলসির ড্র: বার্নলির বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও ১-১ ড্র করল চেলসি। ৩৩ মিনিটে ১-০ করেন কাই হাভার্ৎস। ৭৯ মিনিটে ১-১ করেন মাতেই ভিদরা। ড্র করেও টেবলে শীর্ষে থাকল চেলসি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement