বিশ্বকাপে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতলেও তাঁর উপর ভরসা করতে পারছেন না কোচ। প্রথম একাদশে জায়গা পেলেন না এমিলিয়ানো মার্তিনেস। —ফাইল চিত্র
হওয়ার কথা ছিল বিশ্বকাপ ফাইনালের রিপ্লে। হওয়ার কথা ছিল এমিলিয়ানো মার্তিনেস বনাম হুগো লরিসের লড়াই। কিন্তু কোথায় কী? আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক মার্তিনেসকে প্রথম একাদশে রাখলেনই না অ্যাস্টন ভিলার কোচ উনাই এমেরি। বদলে সুইডেনের গোলরক্ষক রবিন ওলসেনকে নামালেন তিনি। বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের উপর ভরসা দেখালেন না কোচ। তা হলে কি ক্লাবে তাঁর জায়গা নড়বড়ে!
মার্তিনেসের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভাল নয় অ্যাস্টন ভিলার। তাঁকে তাড়াতে হঠাৎই সক্রিয় হয়ে উঠেছে তাঁর ক্লাব। বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়া এই গোলকিপারকে রাখতে চাইছেন না কোচ। জানুয়ারিতে ট্রান্সফার উইন্ডো শুরু হলেই তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হতে পারে। এমন খবরই প্রকাশ্যে এনেছে ইউরোপের ফুটবলে ট্রান্সফার সংক্রান্ত খবরের সবচেয়ে বড় সংস্থা ‘ফিকাজেস’।
তারা জানিয়েছে, আর কয়েক দিন পরেই ট্রান্সফার উইন্ডো শুরু হবে। সেখানেই মার্তিনেসকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মার্তিনেসের মেজাজ এবং আচার-আচরণ নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নন এমেরি। তাঁকে দল থেকে বার করে দিতে চান। সেভিয়ার ইয়াসিন বুনুকে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিশ্বকাপে গোলকিপারদের মধ্যে মার্তিনেস এবং ক্রোয়েশিয়ার ডমিনিক লিভাকোভিচের পাশাপাশি নজর কেড়েছিলেন মরক্কোর বুনুও। ফিকাজেস বলেছে, “ক্লাব এবং মার্তিনেসের বিচ্ছেদ কার্যত সম্পূর্ণ। কোচ নিজেই দায়িত্ব নিয়েছেন যাতে যত দ্রুত সম্ভব মার্তিনেসকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়।”
এই খবর চমকে দেওয়ার মতোই। কারণ, তার আগে জানা গিয়েছিল এমেরি নিজে মার্তিনেসের সঙ্গে কথা বলে তাঁর আচরণ সংযত করার চেষ্টা করবেন। কারণ, বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে মার্তিনেসকে নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। সোনার গ্লাভসের পুরস্কার নিয়ে তাঁর কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিই হোক বা পুতুলের মুখে কিলিয়ান এমবাপের মুখোশ পরানো, বিভিন্ন কারণে তিনি এসেছেন শিরোনামে। ভবিষ্যতে ক্লাবের হয়ে যাতে কোনও বিতর্কে জড়িয়ে না পড়েন, তার জন্য আগেভাগেই তাঁকে সতর্ক করে দিতে চেয়েছিলেন এমেরি। না মানলে ভবিষ্যতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ক্লাব সূত্রের খবর ছিল। তবে যে ভাবে মার্তিনেসকে তিনি প্রথম একাদশে রাখলেনই না, তাতে বোঝা গেল ক্লাবেন অন্দরের ছবিটা খুব একটা ভাল নয়।