৮২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন পেলে। সেই দুঃখ ভুলতে পারছেন না ৬০ বছর ধরে পেলের চুল কাটা নাপিত। —ফাইল চিত্র
গত ৬০ বছর ধরে পেলের চুল কাটতেন সাও পাওলোর নাপিত জোয়াও আরাউজো। বন্ধুরা তাঁকে আদর করে নাম দিয়েছিলেন ‘দিদি’। পেলের প্রয়াণে সেই আরাউজো জোড়া দুঃখ পেয়েছেন। এক জন খদ্দের কমে গিয়েছে তাঁর। সেই সঙ্গে হারিয়েছেন এক ভাল বন্ধুকে।
পেলের থেকে ২ বছরের বড় আরাউজো। পেলের প্রয়াণে সাও পাওলোর একটা বড় অংশে শোক চলছে। দোকান, বাজার বন্ধ। সেখানে নিজের দোকানের সামনে পেলের জার্সি পরে বসে আরাউজো বলেন, ‘‘আমরা এক জন কিংবদন্তিকে হারিয়েছি। ব্রাজিল হারিয়েছে। গোটা বিশ্ব হারিয়েছে। আমি এক জন বড় খদ্দেরকে হারিয়েছি। সেই সঙ্গে হারিয়েছি এক জন ভাল বন্ধুকে।’’
৬৬ বছর আগে তাঁদের বন্ধুত্বের শুরু। পেলের বয়স তখন ১৬। সবে তখন স্যান্টসে সুযোগ পেয়েছেন। আর স্যান্টসের সমর্থক ছিলেন আরাউজো। পেলেকে প্রথম বার দেখার স্মৃতি এখনও টাটকা আরাউজোর। তিনি বলেন, ‘‘পেলে যখন প্রথম এখানে এল তখন ও বাচ্চা ছেলে। তখন কেউ ভাবেনি ও এত বড় ফুটবলার হবে। আমরা জানতাম ও ভাল ফুটবলার। কিন্তু ফুটবলের রাজা হবে সেটা বুঝতে পারিনি।’’
নিজে সালঁ খোলার পর থেকে পেলের চুল কাটতেন আরাউজো। সব মিলিয়ে ১০০০ বারের বেশি চুল কেটেছেন তিনি। মৃত্যুর আগে পর্যন্তও আরাউজোর কাছে চুল কাটাতে যেতেন পেলে। ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পরে তাঁধের বন্ধুত্ব আরও নিবিঢ় হয়েছিল। তখন সুযোগ পেলেই আরাউজোর সালঁতে চলে আসতেন পেলে। দু’জনে মিলে অনেক গল্প করতেন। সেই সব গল্প এখন স্মৃতি। পেলে নেই। দুঃখ ভুলতে পারছেন না আরাউজো।