মোহনবাগান ম্যাচের আগে সতর্ক ইস্টবেঙ্গল কোচ কনস্ট্যান্টাইন। নিজস্ব চিত্র।
মরসুমের প্রথম বড় ম্যাচের আগের দিনই অনুশীলনই করতে পারল না ইমামি ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানের মুখোমুখি হওয়ার আগের দিন ফুটবলারদের ভুল-ত্রুটি শোধরানোর সুযোগই পেলেন না কোচ। প্রবল বৃষ্টির জন্য শনিবার বিকালে অনুশীলন বাতিল করতে বাধ্য হল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ডার্বির আগের দিন দলকে অনুশীলন করাতে না পেরে হতাশ ইমামি ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন।
শনিবার ছিল ইস্টবেঙ্গলের রুদ্ধদ্বার অনুশীলন। বড় ম্যাচের পরিকল্পনা, কৌশল ফুটবলারদের বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন কোচ। কিন্তু ফুটবলারদের নিয়ে ক্লাবে এসেও মাঠে নামতে পারলেন না কনস্ট্যান্টাইন। প্রবল বৃষ্টির জন্য অনুশীলন বাতিল করে তাঁকে ফিরে যেতে হল নিউটাউনের হোটেলে। জল থইথই ইস্টবেঙ্গল মাঠে অনুশীলন করা সম্ভব ছিল না। ক্লাবে কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পর দল নিয়ে হোটেলে ফিরে যান ব্রিটিশ কোচ।
ডুরান্ড কাপে এখনও তেমন খেলতে পারেনি ইমামি ইস্টবেঙ্গল। দু’টি ম্যাচ খেলেও জয়ের মুখ দেখেনি কনস্ট্যান্টাইনের ছেলেরা। দেরিতে দল তৈরি হওয়ায় ফুটবলারদের মধ্যে তেমন বোঝাপড়াও তৈরি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সামনে মোহনবাগান। আর পাঁচটা ম্যাচের সঙ্গে ডার্বির যে তুলনা চলে না, তা জানেন কোচ, ফুটবলাররা। ইমামি ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেছেন, ‘‘অনুশীলনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটা কঠিন ম্যাচ। আমরা অনেক দেরিতে প্রস্তুতি শুরু করেছি। উন্নতি করার অনেক জায়গা রয়েছে। আমরা এখনও ম্যাচ ফিট হওয়ার চেষ্টা করছি। সব ম্যাচেই আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। রবিবারের ম্যাচেও সেটাই করব। এই ম্যাচ আমাদের সামনে আরও একটা সুযোগ।’’
শেষ ছ’টা ডার্বিতে জয় পায়নি ইস্টবেঙ্গল। কলকাতাতেও ডার্বি হচ্ছে আড়াই বছর পর। তাই এই ম্যাচ ঘিরে লাল-হলুদ সদস্য, সমর্থকদের উৎসাহ তুঙ্গে। নতুন আশায় বুক বেধেছেন তাঁরা। শনিবারও ক্লাব তাঁবুতে তিন-চারশো সমর্থক ভিড় করেন। কেউ টিকিটের আশায় আবার কেউ ফুটবলারদের কাছে জয়ের আবদার নিয়ে এসেছিলেন।