শুক্রবার অনুশীলনে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ছবি: সংগৃহীত।
গত মরসুমে পয়েন্ট তালিকায় দশম স্থানে শেষ করেছিল তারা। আগাগোড়া কর্পোরেট ধাঁচে দল চালানো বেঙ্গালুরুর কাছে সেই ফলাফল কখনওই প্রত্যাশিত ছিল না। এই ফলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য এ মরসুমে ঢেলে দল সাজিয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। আইএসএল অভিযান শুরু করার দিনে সেই দলই চিন্তা ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের। তবে চাপে না পড়ে জানিয়েছেন, জিততেই নামবে তাঁর দল।
গত বারের আইএসএল কাপজয়ী দল মুম্বই সিটির থেকে হর্হে পেরেরা দিয়াস, অ্যালবার্ট নগুয়েরা, রাহুল ভেকেকে নিয়ে এসেছে তারা। ওড়িশা থেকে লালথুয়াম্মাওইমা রালতে, পঞ্জাব থেকে মহম্মদ সালাহকে কিনেছে। ইউরোপ থেকে পেদ্রো কাপো, এডগার মেন্ডেজ়কে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘরের মাঠে পূর্ণশক্তি নিয়েই নামবে তারা।
সে কারণেই ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী হয়ে কোচ জেরার্ড জারাগোজা বলতে পেরেছেন, “যাদের চেয়েছিলাম তাদেরই সই করিয়েছি। যা যা বলেছি মালিকপক্ষ মেনে নিয়েছেন। এ বার আমাদের নিজেদের কাজ করে দেখানোর পালা। প্রাক মরসুম প্রস্তুতি দারুণ হয়েছে। ডুরান্ড কাপেও ভাল খেলেছি। এ বার আইএসএলে চমক দেখানোর জন্য তৈরি।”
ইস্টবেঙ্গল এমনিতেই বিদ্ধ আনোয়ার আলিকে নিয়ে। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশের পর আনোয়ার এখন আইনি ভাবে ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড় নন। সেই চিন্তা বৃহস্পতিবারই শোনা গিয়েছিল কুয়াদ্রাতের গলায়। তিনি বলেছিলেন, “আনোয়ার দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। কিন্তু সব কিছু তো আমাদের হাতে থাকে না। ক্লাব নিজের মতো করে বিষয়টা দেখছে। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়। তবে দলে আরও অনেক ভাল ফুটবলার রয়েছে। ওদের নিয়ে পরিকল্পনা করব। আশা করছি আনোয়ারের অভাব মেটাতে পারবে ওরা।”
প্রথম ম্যাচের আগেও কুয়াদ্রাতের গলায় সেই দল গঠনের কথাই। তিনি বলেছেন, “গত মরসুমের থেকে ভাল ফল করার জন্য একটা ভবাল দল তৈরি করেছি। অনেককে রেখে দিয়েছি। কয়েকজনকে সই করিয়েছি। প্রত্যেকে তৈরি প্রথম ম্যাচের জন্য।”
বিপক্ষে বড় নাম থাকলেও তা ভাবাচ্ছে না কুয়াদ্রাতকে। তিনি বলেছেন, “বেঙ্গালুরু বড় দল। কিন্তু প্রতিপক্ষের কথা বেশি না ভেবে নিজেদের কথা ভাবছি। আমরাও এ বার ভাল দল। তিন পয়েন্ট ছাড়া কিছু ভাবছি না। সুনীল, পেরেরাদের আটকাতে আমরা তৈরি।”
আইএসএলে এখনও পর্যন্ত কোনও দিন প্রথম ম্যাচে জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। শনিবার সেই ইতিহাস বদলায় কি না সেটাই দেখার।