ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: এক্স।
কলকাতা ডার্বিতে জেতার পর স্বাভাবিক ভাবেই খুশির রেশ ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। গোটা দলই চনমনে। কিন্তু বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখাতে রাজি নয় তারা। কারণ সেমিফাইনালে সামনে জামশেদপুর এফসি। যে দলের কোচ খালিদ জামিল এসেই দলকে পাল্টে দিয়েছেন। শুক্রবার ম্যাচের পর সমর্থকদের কাঁধে চেপে স্টেডিয়াম থেকে বাসে উঠলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। বার বার ধন্যবাদ জানালেন লাল-হলুদ জনতাকে।
এ দিকে, শেষ তিনটি কলকাতা ডার্বির দু’টিতে গোল করেছেন নন্দকুমার সেকার। মোহনবাগানকে সামনে পেলেই যেন বাড়তি তেতে উঠছেন। শুক্রবারের ম্যাচে একটি পেনাল্টি পেতে পারতেন। প্রথমার্ধে নষ্ট করেছেন সহজ সুযোগ। তবু দিনের শেষে তাঁর নামের পাশে একটি গোল। উচ্ছ্বাসে ফুটছেন নন্দকুমার।
ম্যাচের পর নন্দ বলেছেন, “মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল করতে পেরে ভাগ্যবান। নতুন বছরে প্রথম বার গোল করলাম। সেটাও আবার ডার্বিতে। দ্বিতীয় গোল হয়ে গেল আমার। খুব খুশি।” গোলের পর ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির দিকে গিয়ে বিশেষ ভঙ্গিমায় উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায় নন্দকে। সে প্রসঙ্গে বলেছেন, “সমর্থকদের জন্যই ওই উচ্ছ্বাস। বাইরের মাঠে ম্যাচ খেলছি। ওরা এত দূর থেকে আমাদের সমর্থন করতে এসেছেন। তাই ওদের কৃতিত্ব দিতেই হত।”
বিরতিতে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের বার্তাতেই যে চাঙ্গা হয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল সেটা মেনে নিয়েছেন নন্দ। বলেছেন, “কোচ বলেছিলেন, ম্যাচ ১-১। আমরা ভাল খেলছি। আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতে বলেছিলেন। নিজেদের কাছে বল রাখতে বলেছিলেন। অতিরিক্ত চাপ নিতে বারণ করেছিলেন। লম্বা বল খেলতে দেননি। আশা রেখেছিলেন আমরা গোল করতে পারব।”
গোল না করলেও ডার্বির নীরব নায়ক বাঙালি শৌভিক চক্রবর্তী। তিনি বোতলবন্দি করে রেখেছিলেন হুগো বুমোসকে। ফরাসি ফুটবলারকে তাঁর স্বাভাবিক খেলা খেলতেই দেননি। সেই শৌভিক ম্যাচের পর বলেছেন, “ডার্বির জয় সব সময়েই বিশেষ। প্রতিশোধ নেওয়ার কথা মাথাতেই ছিল না। আমরা জিততে চেয়েছিলাম। এই জয় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য।”
এ দিকে, ভুবনেশ্বরে ম্যাচের আগে পুলিশের হাতে দু’দলের সমর্থকদের নিগৃহীত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় সমর্থকদের বচসা হয় স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে। এক মহিলা এবং বাচ্চাকে ধাক্কা মারা হয় বলে অভিযোগ। এক ইস্টবেঙ্গল সমর্থককেও মেরেছে পুলিশ। অভিযোগ, ডার্বি ম্যাচের জন্য যত সংখ্যক পুলিশ রাখার দরকার তা ছিল না।