ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার নাওরেম মহেশ। ছবি: সমাজমাধ্যম।
মহমেডান ম্যাচের পরেই ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজ়ো বলে দিয়েছিলেন, রাগ দেখিয়ে লাল কার্ড খাওয়া নাওরেম মহেশকে শৃঙ্খলা শেখাবেন। ম্যাচের পরের দিন জানা গিয়েছে, মহেশকে জরিমানা করতে পারে ক্লাব। রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে ফুটবলে লাথি মারায় আইএসএলের তরফেও নির্বাসিত করা হতে পারে।
সামনে আন্তর্জাতিক বিরতি থাকায় ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়েরা আপাতত ছুটিতে গিয়েছেন। মহেশ জাতীয় দলে সুযোগ পাননি। তিনিও বাকিদের মতো ছুটিতে। বিরতি শেষ হওয়ার পর অনুশীলনে ফিরলেই মহেশকে জরিমানা করা হতে পারে। পাশাপাশি কোচের সঙ্গে বৈঠকও হতে পারেন। লাল কার্ড দেখার পরেও কেন তিনি শৃঙ্খলা ভেঙেছেন তা জানতে চাওয়া হতে পারে। মহেশের আচরণ মোটেই ভাল ভাবে নিচ্ছে না ক্লাব।
লাল কার্ড দেখায় এমনিতেই ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচে খেলতে পারবেন না মহেশ। রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোয় তাঁকে আরও একটি ম্যাচ নির্বাসিত করতে পারে আইএসএলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেই সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে। রেফারির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে এমনিতেই শাস্তির বিধান রয়েছে ফিফার নিয়মে।
মহেশের আচরণের প্রেক্ষিতে ম্যাচের পর ব্রুজ়ো বলেছিলেন, “রেফারির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারব না। তাতে শাস্তি হতে পারে। তবে মহেশ যেটা করেছে সেটা ঠিক করেনি। ফিফার নিয়ম আমরা সকলেই জানি। মহেশ সেই নিয়ম ভেঙেছে। তাই ক্লাব ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। মহেশকে বুঝতে হবে নিয়ম ভাঙা কোনও ভাবেই চলবে না। ওকে শৃঙ্খলা শেখাতে হবে।”
তবে দলের খেলায় খুশি ব্রুজ়ো। এই ম্যাচ থেকে অনেক ইতিবাচক দিক পেয়েছেন তিনি। বলেছেন, “অনেক ভাল দিক আছে, যেগুলো কাজে লাগিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারি। আত্মবিশ্বাস ক্রমশ ফিরে আসছে। লিগ টেবলের শেষ জায়গাটা থেকে উঠতে হলে কয়েকটা জয় পরপর পেতেই হবে। ১২ নম্বরের সঙ্গে আমাদের এখনও চার পয়েন্টের পার্থক্য। তবে এই এক পয়েন্টই আত্মবিশ্বাস জোগাল। দলের ছেলেদের মানসিকতা এবং চারিত্রিক দৃঢ়তাই বুঝিয়ে দিয়েছে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি।”
বিরতিতে দলকে যে পেপ-টক দিয়েছিলেন তা কাজে লেগেছে বলে মনে করেন ব্রুজ়ো। কী বলেছিলেন আনোয়ার আলিদের? ব্রুজ়োর কথায়, “ছেলেদের বলেছিলাম, মনে করো ওরা ন’জনে খেলছে আর আমরা ১১ জনে খেলছি। আমাদের ৪-৩-১ ছকে খেলতে হচ্ছিল তখন। নিজেদের গোল রক্ষা করাটাই তখন প্রধান লক্ষ্য ছিল। দলের সাত জনকে নিয়ে ওদের আটকানোর কাজটা করতে হয়েছে। এক জন স্ট্রাইকারকে ওপর দিকে রাখতেই হয়েছিল যদি কোনও সুযোগ আসে। বিরতিতে যে বার্তাটা ছেলেদের দিয়েছিলাম, সেটা ওরা বুঝতে পেরেছে এবং সেই অনুযায়ীই খেলেছে। আমরা বাঘের মতো নিজেদের গোল রক্ষা করেছি।”