ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজ়ো। ছবি: সমাজমাধ্যম।
গত বছরের শেষ দিকে ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজ়ো জানিয়েছিলেন, জানুয়ারি মাসটা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে তাঁদের কাছে। প্লে-অফে উঠতে পারবেন কি না, সেই মাসের শেষেই বোঝা যাবে। নতুন বছরের শুরুটা খুবই খারাপ হয়েছে লাল-হলুদের। পর পর হেরেছে মুম্বই সিটি এবং মোহনবাগানের কাছে। রবিবার গোয়ার বিরুদ্ধে হারের হ্যাটট্রিক এড়ানোই লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গলের। তবে কোচ মনেপ্রাণে চাইছেন ম্যাচটা জিততে। তাঁর মতে, একটানা তিনটি জয় না পেলে কোনও ভাবেই প্রথম ছয়ে শেষ করা সম্ভব নয়।
গোয়া এই মুহূর্তে ১৫ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগে চতুর্থ স্থানে। ইস্টবেঙ্গল রয়েছে ১১ নম্বরে। রবিবার জিতলে দশ নম্বরে উঠে আসার সুযোগ। তবে চোট-আঘাতে বিপর্যস্ত ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে বেশ কঠিন গোয়াকে হারানো। মানোলো মার্কেজ়ের দল শেষ ১০টি ম্যাচে হারেনি। ঘরের মাঠেও অপ্রতিরোধ্য।
ম্যাচের আগের দিন প্লে-অফের প্রসঙ্গ উঠতেই অস্কার বলেছেন, “আপনারা জানেন আমরা ষষ্ঠ স্থানে থাকা দলের থেকে কত পয়েন্ট পিছনে? আমি বলছি, ১০ পয়েন্ট পিছনে। আবারও বলছি, প্রথম ছয়ে শেষ করতে গেলে টানা তিনটে ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে। আগে কোনও দিন ক্লাব যে জিনিস করতে পারেনি। এই মুহূর্তে সেটা হবেই বলতে পারছি না। তবে কাজটা অসম্ভব নয়।”
অস্কার এ দিনও জানালেন, শুরু থেকে দায়িত্ব পেলে হয়তো এমন পরিস্থিতি আসত না। তাঁর কথায়, “আমি আসার আগে ক্লাব ট্রফির জন্য লড়তে চাইছিল। আমি কথাবার্তা বলার সময় লক্ষ্য ছিল প্রথম দুই-তিনে শেষ করা। অনেক বিনিয়োগ করা হয়েছে। তবে অনেক কারণে আমাদের মধ্যে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। বাইরের নয়, দলের মধ্যে সমস্যা। যেমন সাউল, হেক্টরের চোট। একটা ম্যাচে কার্ড সমস্যায় ভাল খেলতে পারিনি।”
তাঁর সংযোজন, “প্রথম ছয় ম্যাচে কোনও পয়েন্ট পাইনি। পরের সাত ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পেয়েছি। যদি শেষ দশ ম্যাচের পারফরম্যান্সের দিকে তাকান তা হলে পয়েন্টের বিচারে প্রথম ছয়ে থাকতাম। শেষ দুটো হার বাদ দিলে প্রথম তিনে থাকতাম। তবে সবাই আইএসএলের সামগ্রিক পারফরম্যান্স দেখে। আমরা আগের থেকে ভাল জায়গায় রয়েছি।”
গোয়া ম্যাচ নিয়ে অস্কারের মন্তব্য, “গোয়া এমন একটা দল যারা অনেক পরিণত ফুটবল খেলে। তবে আমাদের হাতে যা আছে তাই নিয়েই পয়েন্টের জন্য ঝাঁপাতে হবে। আমাদের প্রথম ছয়ে থাকতে গেলে টানা তিনটে ম্যাচ জিততে হবে। প্রথমটা কালকে গোয়াকে হারিয়ে শুরু করতে চাই। এর পর মুম্বই এবং কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচ। সেখানেও জিততে হবে।”
অস্কার বললেও কাজটা তত সহজ নয়। ঘরের মাঠে প্রাক্তন খেলোয়াড় বোরহা হেরেরার হ্যাটট্রিকে জিতেছিল গোয়া। তিনি রবিবারের ম্যাচেও কাঁটা। এ ছাড়া মোহনবাগানের প্রাক্তনী আর্মান্দো সাদিকু রয়েছে, যাঁকে আটকানো কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। ইস্টবেঙ্গলের হাতে আনোয়ার আলি, শৌভিক চক্রবর্তী, মহম্মদ রাকিপেরা নেই। তাই অস্কারের স্বপ্ন কতটা সফল হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।