মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের এই হাসি কি রবিবার থাকবে? — ফাইল চিত্র।
সুপার কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে রবিবার আবার একই দিনে নামছে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে। ১৯ জানুয়ারি কলকাতা ডার্বির আগে এই ম্যাচ দু’দলের কাছেই নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করে নেওয়ার পালা। দুপুর ২টোয় মোহনবাগান খেলতে নামবে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে। সন্ধে সাড়ে ৭টায় ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ আই লিগের দল শ্রীনিধি ডেকান।
প্রথম ম্যাচে জিতলেও ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগানের খেলা মন ভরাতে পারেননি। দেশীয় ফুটবলারে ভরা হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধেও যে ভাবে দু’গোল খেতে হয়েছে তা খুশি করবে না কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে। ক্লেটন সিলভার ব্যক্তিগত নৈপুণ্য না থাকলে কী হত সেই ম্যাচে তা বলা মুশকিল। ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার ছাড়া ইস্টবেঙ্গলে গোল করার মতো লোক আর নেই। জেভিয়ার সিভেরিয়োর ফর্ম এত খারাপ যে তাঁকে মাঠে নামানোর সাহসই পাওয়া যাচ্ছে না। মন্দার রাও দেসাইয়ের চোট থাকায় তিনি খেলবেন কি না নিশ্চিত নয়। নাওরেশ মহেশ জাতীয় দলে। তাঁকে পাওয়া যাবে না।
এই অবস্থায় ক্লেটন এবং দুই বিদেশি বোরহা হেরেরা ও সাউল ক্রেসপোর উপরেই ভরসা করতে হবে কুয়াদ্রাতকে। রক্ষণে ভরসা হিজাজি মাহের। ম্যাচের আগের দিন কুয়াদ্রাত বলেছেন, “শ্রীনিধি দলে ভাল মানের বিদেশি এবং প্রতিভাবান ভারতীয়েরা রয়েছে। দলের ভারসাম্যও দারুণ। তাই ম্যাচটা আমাদের কাছে সহজ হবে না। ওরা আই লিগের উপরের দিকে থাকা দল। প্রথম ম্যাচে মোহনবাগানকে বিপদে ফেলেছিল। দেখা যাক যে ভাবে খেলতে চাই সে ভাবে পারি কি না। দ্বিতীয় ম্যাচেও জিততে চাই আমরা।”
মোহনবাগানের অবস্থা আরও খারাপ। সাত জন ফুটবলার দেশের হয়ে খেলতে যাওয়ায় বিদেশি ছাড়া ভরসা নেই তাদের। কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসকে এই ম্যাচেও পাওয়া যাবে না। তাই ডাগআউটে থাকবেন ক্লিফোর্ড মিরান্ডাই। আগের ম্যাচের মতো তাঁকেও ভরসা করতে হবে বিদেশিদের উপরে। জেসন কামিংস এবং আর্মান্দো সাদিকুকে দায়িত্ব নিতে হবে গোল করার। বিদেশি না থাকলেও শ্রীনিধির মতোই দল হায়দরাবাদের। সামান্য ভুলচুকে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।
আনোয়ার আলি দলের সঙ্গে অনুশীলনে নামলেও এখনও সে ভাবে বল পায়ে ঠেকাননি। জিমে রিহ্যাব করছেন। রবিবার অনুশীলনে মাঠে হালকা স্ট্রেচিং করলেন এবং দৌড়লেন। বাকি দল অনুশীলন করেছে। নতুন করে কোনও চোট-আঘাতের খবর নেই।