বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে বল দখলের লড়াইয়ে মহমেডানের খেলোয়াড়রা। ছবি মহমেডানের সৌজন্যে
অল্পের জন্য অঘটন ঘটাতে পারল না মহমেডান। শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসি-কে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল তারা। অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করে এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল তাদের। ডুরান্ড কাপে সব ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা হল না। তবে চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকেই পরের রাউন্ডে যাচ্ছে মহমেডান।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল মহমেডান। ১৩ মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে দেন প্রীতম সিংহ। আভাস থাপার ক্রস থেকে শেখ ফৈয়াজের শট বাঁচিয়ে দেন বেঙ্গালুরুর গোলকিপার লারা। ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন প্রীতম। প্রথমার্ধে বেঙ্গালুরুকে সে ভাবে খেলতেই দেয়নি মহমেডান। রয় কৃষ্ণ, সুনীল ছেত্রীদের গোল করার কোনও সুযোগই দেয়নি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই প্রায় সমতা ফিরিয়েছিল বেঙ্গালুরু। ৪৭ মিনিটের প্রবীর দাসের দূরপাল্লার শট অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন মহমেডান গোলকিপার জোথান মাউইয়া। ৬৩ মিনিটে অভিষেক হালদারের দূরপাল্লার শট আটকে দেন বেঙ্গালুরুর গোলকিপার। দশ মিনিট পরেই ধাক্কা খায় মহমেডান। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অভিষেক।
যখন মনে হচ্ছে তিন পয়েন্ট নিয়ে অঘটন ঘটিয়েই মাঠ ছাড়বে মহমেডান, তখনই নেমে আসে বিপদ। কর্নার থেকে সমতা ফেরান বেঙ্গালুরুর শিবা। তবে বেঙ্গালুরুর মতো পুরো শক্তি নিয়ে খেলার দলের বিরুদ্ধে যে ভাবে খেলেছে, তাতে কৃতিত্ব দিতেই হবে আন্দ্রে চের্নিশভের ছেলেদের।