অনুশীলনে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফাইল ছবি
ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে জিতেছে মহমেডান। অপ্রত্যাশিত ভাবে হেরেছে এটিকে মোহনবাগান। সোমবার ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কি হবে? এই প্রশ্নই আপাতত ঘুরছে কলকাতার ময়দানে। ভারতীয় নৌবাহিনির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলতে নামবে লাল-হলুদ। তারা কেমন খেলবে, কী প্রথম একাদশ হবে কিছুই আগে থেকে বোঝা যাচ্ছে না। তবে কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের মুখে লড়াইয়ের বার্তা প্রথম ম্যাচের আগেই।
বাকি দুই প্রধানের তুলনায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল দল গড়েছে অনেক দেরিতে। তবে আশার কথা, দলের ঘোষিত বিদেশি ফুটবলাররা প্রত্যেকেই শহরে চলে এসেছেন। সাইপ্রাসের কারালাম্বোস কিরিয়াকু সবার আগে আসেন। তার পর আসেন অ্যালেক্স লিমা এবং ইভান গঞ্জালেজ। রবিবার সকালে এলেন এলিয়ান্দ্রো এবং ক্লেটন সিলভা। এশীয় কোটার বিদেশি এখনও বাকি।
প্রথম ম্যাচে হতে থাকা বিদেশিদের আদৌ খেলাবেন কি না, তা নিশ্চিত করে বলেননি কনস্ট্যান্টাইন। তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তর, “আমার হাতে দেড় খানা বিদেশি রয়েছে।” সূত্রের খবর, কিরিয়াকুকে প্রথম থেকে না হলেও, পরের দিকে নামাতে পারেন।
আক্রমণ ভাগে থাকতে পারেন ভিপি সুহের। মিডফিল্ডে থাকতে পারেন অনিকেত যাদব, শৌভিক চক্রবর্তীর মতো ফুটবলাররা। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে আশার কথা হল, উল্টো দিকে যারা থাকবে সেই নৌবাহিনি দলও বিদেশিহীন। প্রথম ম্যাচের আগে কনস্ট্যান্টাইন বলেছেন, “সবাই জানে যে আমাদের দল গড়তে দেরি হয়েছে। যে চারটে ম্যাচ আমরা গ্রুপ পর্বে পাব, তাতে দলটাকে তৈরি করাই আমার মূল উদ্দেশ্য। এই দলে একে অপরের বিরুদ্ধে কেউ খেলেনি। সম্পূর্ণ নতুন একটা দল। প্রথম ম্যাচ আমার কাছেও উত্তেজক হতে চলেছে। এখান থেকেই ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী দল গড়া শুরু হবে।”
কনস্ট্যান্টাইনের সংযোজন, “১৩-১৪ দিন অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। প্রথম দিন হাতে ১১ জন ছিল। পরে আরও এসেছে। যারা রয়েছে তারা অনুশীলনে নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে। তবে যত দিন না একটা তৈরি হয়ে যাওয়া দল নিয়মিত ভাবে অনুশীলন করছে, তত দিন একটা সমস্যা থাকবেই। যারা রয়েছে তাদের নিয়ে খুশি। আমরা মাঠে সেরা পারফরম্যান্সই দেব।”
ব্রিটিশ কোচ জানিয়েছেন, ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কোচ হতে পেরে তিনি গর্বিত। দুর্দান্ত ইতিহাস, অতীত দেখেই কোচ হতে দু’বার ভাবেননি। সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “বুঝতে হবে যে নতুন করে কিছু শুরু হলে সমস্যা হবেই। ইস্টবেঙ্গল শীর্ষে শেষ করুক, এটা সবাই চায়। তবে তার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।”