প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেও লাভ হল না গোকুলমের। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে কাতর আবেদন করেও লাভ হল না। এএফসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে তাসখন্দে গিয়েও দেশে ফিরতে হচ্ছে গোকুলম কেরলের মহিলা দলকে। শনিবার তাদের দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। ফিফা তাদের আবেদন শুনবে না বুঝতে পেরেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিন দেশে ফেরার বিমান খোঁজা শুরু করেছে দল।
সংবাদ সংস্থার কাছে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ক্লাবের সভাপতি ভিসি প্রবীণ। সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “ক্রীড়া মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে যে ফিফা এবং এএফসি তাদের অনুরোধ শুনবে না। আয়োজকরাও জানিয়ে দিয়েছে আমরা খেলতে পারব না। তাই দল ফিরে আসছে। রবিবারই ফেরার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও বিমান না থাকায় সোমবার বা মঙ্গলবার ফিরবে দল। ফুটবলাররা প্রচণ্ড হতাশ। ওদের বা ক্লাবের কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও ভুগতে হল।” তিনি জানিয়েছেন, যাতায়াত এবং থাকা-খাওয়া বাবদ যে খরচ তাদের হয়েছে তা এএফসি-কে ফেরানোর অনুরোধ করবেন তাঁরা।
গত মঙ্গলবার ভোররাতে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে নির্বাসিত করে ফিফা। তত ক্ষণে গোকুলম প্রতিযোগিতা খেলতে পৌঁছে গিয়েছিল উজবেকিস্তানের রাজধানীতে। সেখান থেকে বিমানে কারশি শহরে গিয়ে ম্যাচ খেলার কথা ছিল তাদের। কিন্তু ফিফার নির্বাসনের কারণে রাতারাতি ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কারণ, নির্বাসন থাকলে ভারতের কোনও ক্লাব কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না।
তার পরেও হাল ছাড়া হয়নি। তাসখন্দ থেকেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে ফুটবলারদের অসহায় অবস্থার কথা জানানো হয়। দলের তরফে টুইট করা হয়, ‘আমাদের দলের ২৩ জন মহিলা সদস্য তাসখন্দে আটকে পড়েছে। এতে ওদের কোনও দোষ নেই। আমরা প্রধানমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাচ্ছি যাতে আমাদের এএফসি প্রতিযোগিতা খেলতে দেওয়া হয়।’
এর পর আসরে নামে ক্রীড়া মন্ত্রক। গোকুলমকে তাসখন্দেই অপেক্ষা করতে বলা হয়। শুক্রবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে ফিফা এবং এএফসি-কে অনুরোধ করা হয় গোকুলমকে খেলতে দেওয়ার জন্যে। সেই অনুরোধ শোনা হল না।