ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ছবি: রয়টার্স।
স্লোভেনিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল। সেই ম্যাচে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পেনাল্টি মিস্। তার পরে কেঁদেছিলেন তিনি। কিন্তু গোল করেছিলেন টাইব্রেকারে। সেই সময়ে রোনাল্ডোর হৃৎস্পন্দন কেমন ছিল তার একটি চিত্র প্রকাশ্যে এসেছে। তা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন সমর্থকেরাই।
পেনাল্টি মিস্ করার আগে গোটা ম্যাচে চারটি ফ্রিকিক নষ্ট করেন রোনাল্ডো। সমাজমাধ্যমে তাঁর হৃৎস্পন্দনের যে গতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ১২০ মিনিটের খেলা যখন প্রায় শেষের দিকে তখন তা ছিল ২০০-র কাছাকাছি। অর্থাৎ স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি।
এর পর ধীরে ধীরে তাঁর হৃৎস্পন্দন কমতে থাকে। তিনি টাইব্রেকারে শট নিতে যাওয়ার সময় হৃৎস্পন্দন ছিল সবচেয়ে কম। প্রায় ৯০-এর কাছাকাছি। অর্থাৎ টাইব্রেকারে শট মারার সময় অনেক শান্ত, ধীরস্থির ছিলেন রোনাল্ডো। বাড়তি চাপ নেননি। সে কারণে হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিলেন। গোল করার পরেই এক লাফে তাঁর হৃৎস্পন্দন অনেকটাই বেড়ে যায়। ১৫০-র গন্ডি পেরিয়ে যায়।
পর্তুগালের দ্বিতীয় গোলের সময় আবার রোনাল্ডোর হৃৎস্পন্দন কমে গিয়েছিল। তিনি ক্রমশ নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। কারণ তখন পর্তুগাল ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ কোয়ার্টারে ওঠার পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। হৃৎস্পন্দন আবার বেড়ে যায় তৃতীয় তথা জয়সূচক গোল করার পর। অর্থাৎ তখন রোনাল্ডো অনেকটা নিশ্চিন্ত হন। কোয়ার্টারে ওঠার পরে উত্তেজনাও স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে যায়।